দুর্নীতিতে জেরবার দল৷ তাই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা, দেখুন ব্যক্তিগতভাবে কে কী করছে সব খবর রাখা সম্ভব নয়। যদি ইনডিভিজুয়াল কেউ কোনও অন্যায় করে থাকে, ব্যবস্থা হোক। কিন্তু তার মানে এটা হয় ডোর টু ডোর, মধ্যরাতে কার ঘরে ঢুকে যাবে, আতঙ্কে কাঁপছে।
শিক্ষা দফতরে নিয়োগ শুধু নয়। একাধিক দুর্নীতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে সরকার৷ তাই কর্মীদের উদ্দেশ্যে রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাল যদি আমার বাড়িতে যায় আপনারা কী করবেন? রাস্তায় নামবেন তো? গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন তো? আমারটা আমি একাই লড়ে নেব। কিন্তু আপনাদেরটা আপনাদের লড়ে নিতে হবে তো? যদি আমার কোনও সহকর্মীকে ইচ্ছা করে জেলে ধরে রেখে দেয়, কী বলছে এখন না গরুর টাকা নিয়েছে। গরুটা কোথা থেকে আসে। উত্তরপ্রদেশ থেকে কেন তুমি গোরু পাঠাও বাংলা দিয়ে? বিহার থেকে তুমি কেন গরু পাঠাও বাংলা দিয়ে? আমি অনেকবার বলেছি আমাদের বর্ডারে আমরা ঢুকতে দেব না। গোরু দেখার দায়িত্ব বিএসএফের৷
তবে সহকর্মীদের পাশে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, এমনি জিততে পারবে না। ববিকে অ্যারেস্ট কর, অরূপকে অ্যারেস্ট কর, মালাকে অ্যারেস্ট কর, শুভাশিসকে অ্যারেস্ট কর, কেষ্টকে অ্যারেস্ট কর…। আমি বলি কবে কবে অ্যারেস্ট করবে বল না নামগুলো। আমি দরকার হলে আমার সব সহকর্মীদের নিয়ে জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দেব। এসো, দেখি কত জেল তোমার আছে।
রবিবারের সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাস্তায় নামতে হবে। রাস্তাই আমাদের রাস্তা দেখাবে। তাই নতুন করে আরেকটা রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু হবে। সেই যুদ্ধটা হবে খেলা হবে দিবস থেকে। খেলা হবে, সকলে খেলা হবে দিবসে অংশগ্রহণও করবেন। আমার কর্মসূচি ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে।
সিবিআইকে ভয় পাচ্ছে মমতা? কারণ, গরু পাচার কান্ডেই একাধিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। সেই আন্দাজ পেয়েই এখন নীচুতলার কর্মীদের আশ্বাস অর্জন করতে মরিয়া মমতা।