মমতার কড়া সিদ্ধান্তে মাথায় হাত শুভেন্দুর? আর পাবেন না তৃণমূলের গোপন খবর?

এবার সর্ষের মধ্যেই ভুতের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee ) মুখে! সরকারি অফিসারদের একটা অংশ ‘সেটিং’ করে চলছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)…

Mamata Banerjee, Suvendu Adhikari

এবার সর্ষের মধ্যেই ভুতের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee ) মুখে! সরকারি অফিসারদের একটা অংশ ‘সেটিং’ করে চলছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাথে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা! টাকা তুলে শুভেন্দুর কাঁথিতে পাঠানো হচ্ছে, এমন মারাত্মক অভিযোগে বিতর্কের সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে নবান্নের আধিকারিক মহলে!

যদিও একাংশের মতে, বারংবার সংবাদমধ্যমের সামনে সরকারের বিভিন্ন গোপন খবর থেকে দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছেন শুভেন্দু! খবরের সোর্স হিসাবে ইঙ্গিত করেছেন খোদ মমতার আশেপাশের বিশ্বস্ত লোকজনের দিকেই। আর এবার তাই কোনো রিস্ক নিতে চান না মমতা! গোপন কথা গোপন রাখতে তাই নতুন নিয়ম জারি করেছেন তিনি।

   

লোকসভায় ব্যাপক জয়ের পর তৃণমূল নেত্রীর নজরে এখন সরকারি অফিসারেরা! সূত্রে খবর, নির্বাচন চলনকালীনই বেশ কিছু আধিকারিকদের অধিকারী নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা! তার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই অফিসারেরাই গোপন তথ্য লিক করছে বাইরে! শুধু সরকারি তথ্যই নয় রাজনৈতিক অনেক গোপন খবরও পাচার হয়ে যাচ্ছে বিরোধী শিবিরের কাছে এমনটাই ধারনা তৃণমূল সুপ্রিমোর! আর তার জেরেই বারংবার মুখ পুড়েছে শাসক দলের বলে দাবী জোড়াফুল শিবিরের।

এখন থেকে নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী যেরকম ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে প্রবেশের সময় অফিসারদের মোবাইল বাইরে জমা রেখে যেতে হতো, সেরকম ভাবেই অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ঢুকবার সময়ও একই নির্দেশিকা বলবৎ হবে! প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে এর আগেও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক গোপন খবর বাইরে চলে গিয়েছে বলে ধারণা শাসক শিবিরে!

সেইসাথে শুভেন্দু অধিকারী কে ফান্ডিং এর কাজেও বেআইনিভাবে সাহায্য করছেন একশ্রেণীর অফিসারেরা, এমনটাই অভিযোগ মমতার! বিশেষ করে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের একাংশের দিকে তার অভিযোগ রয়েছে! মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, ট্রাক এবং বিভিন্ন মাল বহনকারী গাড়িগুলি থেকে বেআইনিভাবে তোলা টাকা ঘুরপথে পৌঁছাচ্ছে কাঁথির শান্তিকুঞ্জে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এরকম চমকে দেওয়া অভিযোগে রীতিমতো রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে!

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর, মমতার এই ধরনের বক্তব্যে অন্যরকম তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা! গোপন খবরের সোর্স আটকে শুভেন্দুকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং গেম প্ল্যানিং তৈরির সুবিধা পাওয়া থেকে আটকাতে চাইছেন মমতা, সেটা যেমন মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা! তেমনি ফান্ডিং এর অভিযোগ যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রটিকে আটকে বিরোধীদল তথা বিরোধী দলনেতাকে আরো বিপাকে ফেলার মরিয়া চেষ্টা যে মমতা করছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই!

যদিও স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করেছে। এই অভিযোগকে লোকসভা ভোটে অফিসারদের পক্ষপাতহীন আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ বলেই মনে করছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব ! তবে কারণ যাই হোক না কেন, এই ধরনের পদক্ষেপে মমতার উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে, সেটা নিয়ে রীতিমতো এখন আলোচনার ঝড় উঠেছে নবান্নের অফিসারদের টেবিলে টেবিলে! তবে সাম্প্রতিক বৈঠকে একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পারফরম্যান্সে মুখ্যমন্ত্রী যে রীতিমতন চরম ক্ষুব্ধ সেটা তার কিছু আধিকারিকদের নাম নিয়ে দেওয়া হুঁশিয়ারিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।