তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে তোলাবাজি, বিক্ষোভে উত্তাল মহেশতলা

তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা (Maheshtala) পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম করে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া এবং তোলাবাজির…

Extortion under TMC Councillor's Name, Protests Erupt in Maheshtala

তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা (Maheshtala) পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম করে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া এবং তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এক লক্ষ টাকার বেশি দাবি করা হয়েছিল। অভিযোগ, ব্যবসায়ীর দোকান মেরামত করার সময় দুই দুষ্কৃতী তাকে ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তারা বেধড়ক মারধর করে। শুধু ব্যবসায়ীই নয়, তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার দুপুরে, ওই এলাকার মানুষ সন্তোষপুর রোড অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল কাউন্সিলর শাকিল আহমেদ মণ্ডলের নাম ব্যবহার করে এই তোলাবাজির ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

   

ব্যবসায়ীর পরিবার জানিয়েছে, পুরনো একটি দোকান, যা ভগ্নদশায় ছিল। সেই দোকানটির মেরামত কাজ চলছিল। কাজ চলাকালীন ওই দুই দুষ্কৃতী এসে এক লক্ষ টাকারও বেশি দাবি করে। টাকা না দেওয়ায়, তারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে। এমনকি, তাকে বাঁচাতে এসে আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং স্থানীয়রা সন্তোষপুর রোড অবরোধ করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অবরোধ চলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। মহেশতলা পুরসভার কাউন্সিলর শাকিল আহমেদ মণ্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, তিনি ওই দুষ্কৃতীদের চেনেন না এবং দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এদিকে, পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে এবং দুষ্কৃতীদের খোঁজে তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ডিএসপি (শিল্প) কামরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

পুলিশের আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। তবে এখনও এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা চাইছেন দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক এবং আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। 

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা পুনরায় ঘটতে দেওয়া যাবে না। তারা পুলিশ প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এমন একটি ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। মহেশতলা পুরসভার কাউন্সিলরের নাম জড়িয়ে তোলাবাজির অভিযোগ অনেকের কাছে প্রশ্ন তৈরি করেছে। কি করে কাউন্সিলরের নাম ব্যবহার করে এমন ঘটনার সৃষ্টি হলো, সেটি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে চায়।