ভোট গণনার দিন হতে পারে গণ্ডগোল! শুধু তাই নয়, তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলর এবং পৌরপিতারা ভোট গ্রহণের দিন ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে! এই আশঙ্কা করছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ। তিনি ভয় পাচ্ছেন যে সেইদিন ব্যারাকপুরের কিছু অঞ্চলে গণ্ডগোল বাঁধাতে পারে তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এখানেই শেষ নয়, ইচ্ছাকৃত গণ্ডগোল করে ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে তৃণমূল, এই সম্ভবনা থাকতে পারে বলে মনে করছেন অর্জুন সিং। সেই মর্মে তিনি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে আগেভাগে সতর্ক করতে চাইছেন। বুধবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রাকেশ কুমার প্রজাপতিকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে যে,স্থানীয় বিধায়ক পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে গণনাকেন্দ্রে গোলমাল করবেন বলে পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। গোপন সূত্র থেকে তিনি শাসকদলের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ আরও লিখেছেন, গণনার কাজে ব্যবহৃত ডেকোরেটার এবং ক্যাটারারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে গণনাকেন্দ্রে দুষ্কৃতীদের প্রবেশ করানো হতে পারে, যাতে গণনার ফল সহজেই প্রভাবিত করা যায়। এমন সব আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি কমিশনকে চিঠি লিখেছেন।
প্রসঙ্গত ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। এখানে আগে থেকেই তৃণমূল নেতারা গোলমাল পাকানোর যাবতীয় প্রস্তুতি রাখবেন বলে ওই চিঠিতে দাবি করেছেন অর্জুন। ব্যারাকপুরের রাজনীতিতে পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের কথা কারও অজানা নয়। তবে এইবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে এইবার সেইভাবে অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েক জায়গায় অর্জুন সিংকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে গো ব্যাক স্লোগান। ব্যারাকপুরের এক তৃণমূল নেতা যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেছেন, অর্জুন নিজে হেরে যাওয়ার ভয়ে এইসব কথা বলছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে অর্জুন আগেভাবেই কমিশনকে চাপে রাখার প্ল্যান করেছে।