শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আগামী ৫২ ঘণ্টা ধরে চলবে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ। এর ফলে বহু লোকালের যাত্রাপথে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শুরু হয়ে সোমবার ভোর পর্যন্ত এই কাজ চলবে, এবং এর জন্য শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ বদলে দেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রীদের জন্য কিছু অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে, যদিও রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বালিগঞ্জ এবং কাঁকুড়গাছিতে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে, যা বেশ কিছু ট্রেনের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে। বিশেষ করে বজবজ লাইনের ট্রেনগুলিকে শিয়ালদহের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে যাত্রীদের শিয়ালদহ থেকে ট্রেন পরিবর্তন করে দক্ষিণ শাখায় যেতে হবে। তবে, ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা বা ক্যানিং যাওয়ার লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে, ফলে সেখানে কোনও বড় সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
নৈহাটি-মাঝেরহাট লোকালগুলিকেও চক্ররেলের লাইনে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিবর্তনের ফলে কিছুটা অসুবিধা হলেও, রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার জন্য কিছু স্পেশ্যাল ট্রেনও চালু করা হচ্ছে। যেমন, শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে বারুইপাড়ার উদ্দেশে একটি স্পেশ্যাল ট্রেন রওনা দেবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় বজবজ থেকে রওনা হয়ে একটি স্পেশ্যাল ট্রেন নিউ আলিপুর পর্যন্ত যাবে। তারপর, রাত ৮টা ১২ মিনিটে নিউ আলিপুর থেকে বজবজের উদ্দেশে একটি স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়বে। এই বিশেষ ট্রেনগুলির কারণে যাত্রীদের সুবিধা কিছুটা হলেও হবে এবং তারা সহজেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
এছাড়া, শিয়ালদহ মেইন ও বনগাঁ শাখাতেও স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে, যাতে অন্যান্য শাখায় যাত্রীদের ভোগান্তি কম হয়। তবে, কিছু রুটে যাত্রীদের অন্যান্য ট্রেনে পরিবর্তন করতে হবে এবং কিছু সময়ের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষ এই কাজের জন্য এক ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে, যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমানো যায়।
কিন্তু, এই ধরনের কাজের জন্য রেলের যাত্রীদের মধ্যে যে কিছুটা ভোগান্তি হবে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষ করে যারা দৈনন্দিন যাত্রী, তাদের জন্য এই ধরনের রুট পরিবর্তন অনেক সময় বিপদজনক হতে পারে। তবে, রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে, স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর মাধ্যমে যাত্রীদের সমস্যা অনেকটাই মিটিয়ে দেওয়া যাবে।
এই সময়টাতে যাত্রীদেরকে সচেতন থাকতে হবে এবং রেলের ঘোষণা অনুসারে চলতে হবে।