পানীয় মদ বিক্রির লাইসেন্স বাতিল, পুলিশি সতর্কতা জারি

দোল ও হোলি উৎসবের সময় কলকাতা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে। বিশেষ করে মদ্যপ অবস্থায় জলাশয়ে স্নান করতে নেমে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে,…

Liquor License Revoked

short-samachar

দোল ও হোলি উৎসবের সময় কলকাতা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে। বিশেষ করে মদ্যপ অবস্থায় জলাশয়ে স্নান করতে নেমে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ সতর্ক। গত কয়েক বছরে দোল ও হোলির দিন কলকাতার বিভিন্ন জলাশয়ে ডুবে মৃত্যু হওয়ায় পুলিশ এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় কেউ যেন জলাশয়ে না নামে, তার জন্য শহরের ৬৬টি ঘাটে কঠোর নজরদারি থাকবে। শুধু গঙ্গার ঘাটই নয়, শহরের বিভিন্ন দিঘি ও পুকুরের ঘাটেও পুলিশের টহল থাকবে।

   

শুক্র ও শনিবার দু’দিন কলকাতার পুলিশ বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকবে। প্রায় ২১০০০ পুলিশ কর্মী সারা শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এর মধ্যে অন্তত ৪৪টি ঘাটে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্য মোতায়েন করা হবে। এসব ঘাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে, যাতে কেউ মদ্যপ অবস্থায় জলে না নামে। পুলিশের বাইক বাহিনী অলিগলিতে টহল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে, যাতে কোনো ছোটখাটো গোলমাল ঘটলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এছাড়াও, পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে এবং স্থানীয় ক্লাবগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে তারা মদ্যপ অবস্থায় কাউকে জলাশয়ে নামতে না দেয়। মাইকিংয়ের মাধ্যমে দোল ও হোলির দিন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের নির্দেশ, যদি কোনো এলাকায় ছোটখাটো গোলমালও ঘটে, তবে তা দ্রুত সমাধান করতে পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

কলকাতার পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, গত দু’বছরে দোলের দিন গঙ্গা ও অন্যান্য জলাশয়ে ডুবে মৃত্যু হওয়ায় পুলিশ এবার আরও আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ছাড়াও, সম্প্রীতি বজায় রাখতে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশের নজর থাকবে। এর জন্য যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এবং ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকি থাকবে।

দোল ও হোলির সময় সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেটও থাকবে, যাতে কোনো রকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। শহরের একশোরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ উপস্থিত থাকবে, যাতে সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এ বছর পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে মানুষ উৎসবের মধ্যে আনন্দমুখর পরিবেশ উপভোগ করতে পারে, কিন্তু একই সঙ্গে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত থাকে।