তিলোত্তমা-কাণ্ডে নয়া মোড়, প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠালেন আইনজীবীরা

আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতের রায় ঘোষণার পর তিলোত্তমা-কাণ্ডে নতুন এক মোড় এসেছে। শিয়ালদহ আদালত আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডের মূল…

CBI Summons 11 Kolkata Police Personnel in RG Kar Case

short-samachar

আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতের রায় ঘোষণার পর তিলোত্তমা-কাণ্ডে নতুন এক মোড় এসেছে। শিয়ালদহ আদালত আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এই রায় ঘোষণার পর সিবিআই তদন্তের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

   

তিলোত্তমার পরিবার এবং কিছু আইনজীবী ও সমাজকর্মী মনে করছেন, কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইয়ের মধ্যে যথাযথ তদন্ত না হওয়া, মামলার মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া, এই সব বিষয় সামনে এসেছে। ফলে, তারা প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে আবার নতুন করে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।

শিয়ালদহ আদালতের রায় এবং বিচারকের পর্যবেক্ষণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে, বিশেষ করে কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়ে। মামলার তদন্ত কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল, কিন্তু পরে সিবিআই তদন্ত শুরু হলেও, অভিযোগ উঠছে, সিবিআইয়ের তদন্তও সঠিকভাবে এগোয়নি। তিলোত্তমার পরিবারও এই অভিযোগ তুলেছে, বিশেষ করে তদন্তের প্রথম দিকে তদন্ত সংস্থা কিভাবে কাজ করেছে এবং কোন কারণে ঘটনার প্রাথমিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছে তা নিয়ে তারা অসন্তুষ্ট।

শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার পর, তিলোত্তমার পরিবার হাইকোর্টে জানায় যে তারা আপাতত সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চায় না। তবে, এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তিলোত্তমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে যাতে আরও ভালোভাবে এই মামলার তদন্ত হয়।

আইনজীবীরা এই চিঠির মাধ্যমে সিবিআইয়ের নিষ্ক্রিয়তা এবং তদন্তের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবি, সিবিআই এখনো পর্যন্ত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়নি, যদিও তারা বলেছিলেন তা দেওয়া হবে। তিলোত্তমার পরিবার এবং সমাজকর্মীরা আরও জানতে চান, কেন তাড়াহুড়ো করে মৃতদেহের সৎকার করা হয়েছিল? কেন সেমিনার কক্ষের ভাঙচুর করা হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনার কথা বলেও সিবিআই নিরব থেকেছে এবং কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই, আইনজীবীদের একাংশের দাবি, তিলোত্তমা-কাণ্ডের মতো গুরুতর মামলার তদন্ত নতুন করে শুরু করা উচিত, যাতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠতে পারে।

তিলোত্তমা-কাণ্ড নিয়ে যে সব প্রশ্ন এখনও ঝুলে আছে, সেই বিষয়গুলির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং উত্তর পাওয়ার জন্য আইনজীবী ও সমাজকর্মীদের এই উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করছেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয়, তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।