লালবাজারের কঠোর পদক্ষেপে ৬৯ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস

ভুয়ো পাসপোর্ট (lalbazar Fake Passport Case) কাণ্ডে কঠোর পদক্ষেপ নিল লালবাজার। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৬৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে।…

"Fake Document-Based PAS Sports Should Be Canceled, Lalbazar Urges Regional Passport Office"

ভুয়ো পাসপোর্ট (lalbazar Fake Passport Case) কাণ্ডে কঠোর পদক্ষেপ নিল লালবাজার। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৬৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এই চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে এসেছে এবং নতুন নতুন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এ ছাড়া, অভিবাসন দপ্তরকেও এই বিষয়ে বিস্তারিত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশে মৌলবাদীদের অত্যাচার এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বহু মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আসার চেষ্টা করছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েকটি চক্র শুরু করেছিল ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির ব্যবসা। পুলিশ প্রথমে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং পরবর্তীকালে জানা যায় যে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বৈধ পথে পাসপোর্ট তৈরি করার নামে হাজারো ভুয়ো নথি তৈরি করে আসছিল।

   

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রের মাথা প্রতি পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকা দাবি করত। কিছু দিন আগেই পুলিশের হাতে আসে একাধিক তথ্য, যার ভিত্তিতে ১২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক এই চক্রের মাধ্যমে ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport Case) তৈরি করিয়েছিল। অধিকাংশই বর্তমানে উধাও, তাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

লালবাজারের তরফে একটি চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে, যেখানে ওই ১২০ জনের মধ্যে ৬৯ জনের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে, যাতে এই নাগরিকরা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে এবং তাদের পালিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করা যায়। ইতিমধ্যেই একাধিক ভুয়ো পাসপোর্ট বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বাকি পাসপোর্টগুলোও বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে।

Advertisements

পুলিশের অনুমান, যেহেতু অনেকেই বেআইনিভাবে তৈরি পাসপোর্ট (Fake Passport Case) ব্যবহার করে অন্য দেশে গা ঢাকা দিয়েছে, তাই তাদের ধরতে আন্তর্জাতিক স্তরে নজরদারি চালানো হতে পারে। লালবাজারের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এমনকি তদন্তে আরও গভীর হওয়া সম্ভব, কারণ পাসপোর্ট তৈরির এই চক্রটি শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, অনেক ভারতীয় নাগরিকও এতে জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার ফলে মানুষের মধ্যে একটা ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে আলোচনা চলছে কিভাবে এই ধরনের অপরাধের সাথে আরও কঠোরভাবে মোকাবিলা করা যাবে। তদন্তকারীরা আশাবাদী যে, লুকআউট নোটিস এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সহায়তায় খুব শিগগিরই ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবসায়ীদের ধরতে সক্ষম হবে।

এদিকে, অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির চক্রের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত আরও এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হতে পারে, যা এই অপরাধ চক্রের মূল সুত্র ধরে এনে সব দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।