Bangladesh: শহরে প্রায় ২৫০ জনকে ফোন? বাংলাদেশ নিয়ে ‘হাই-অ্যালার্ট’ লালবাজারের!

বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে ফেসবুকের পাতায় কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বৈপ্লবিক পোস্ট করবার আগে কিন্তু একটু সাবধান। কারণ লালবাজার থেকে শুরু করে রাজ্যের গোয়েন্দা ডিপার্টমেন্টের…

Lalbazar cyber cell called more than 250 persons to withdraw their Facebook post on Bangladesh

বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে ফেসবুকের পাতায় কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বৈপ্লবিক পোস্ট করবার আগে কিন্তু একটু সাবধান। কারণ লালবাজার থেকে শুরু করে রাজ্যের গোয়েন্দা ডিপার্টমেন্টের সতর্ক নজর হয়তো আপনার উপরেও থাকতে পারে। নিজে সতর্ক না হলে, লালবাজার থেকে পরবর্তী ফোন আপনার কাছেও আসতেই পারে।

আর সেটা যদি না চান তাহলে আবেগের স্রোতে গা ভাসিয়ে কিছু না ভেবেই পোস্ট করাটা বন্ধ করতে হবে। কারণ ওপার বাংলার অরাজক অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত এপার বাংলাও। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সকলকেই দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য পালনের কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সাবধানী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

   

নিজের দলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেতা-কর্মী সকলকেই তিনি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন যে বাংলাদেশের ব্যাপারে কেউ কোনও রকম ভাবেই মুখ খুলবে না। আর সেই কথা মাথায় রেখে শহরের বুকে যাতে কোন রকম ভাবে গুজব ছড়ানো না হয় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ লালবাজারের।

গতকাল থেকেই বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের উপরে কড়া নজর রেখেছে লালবাজারের সাইবার সেল। লালবাজার সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২৫০ জনকে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি বা বক্তব্য পোস্ট করবার জন্য ফোন করে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে সেই সমস্ত পোস্ট যেন তারা ডিলিট করে দেন।

পড়শি রাজ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক নৈরাজ্যের আঁচ এপার বাংলাতেও পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর সেই সুযোগে যাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বা হিংসার মত পরিস্থিতি না তৈরি হয় তার জন্য প্রথম থেকেই কড়া ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার। গতকালের মত আজও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ বৈঠক করেন এই বিষয়ে। সেখানে রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা এলাকা গুলির উপরেও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যদিও রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর বিএসএফের পাহারা আরও কঠোর এবং নিশ্চিদ্র করা হয়েছে। পুরো বাংলাদেশ সীমান্তই কার্যত এই মুহূর্তে সিল করা রয়েছে। এমনকী গতকাল সন্ধ্যে নাগাদ বিএসএফের ডিজি তড়িঘড়ি কলকাতা ছুটে এসেছিলেন।

তারই মধ্যে কলকাতা পুলিশের এই বেনজির পদক্ষেপ কার্যত অবাক করেছে সব পক্ষকেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। অনেকে সেই সমস্ত খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করছেন। আর সেই খবরের জেরে যাতে এপার বাংলাতে কোনওরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট রাজ্য সরকার।

আপাতত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষয়ী হিংসার খবর আসছে। যা নিয়ে এ রাজ্যের ট্রেনে বাসে পথ চলতি মানুষদের মধ্যেও আলোচনা শোনা যাচ্ছে। তবে সেই আলোচনা শুধুমাত্র যেন আলোচনা স্তরেই থাকে, চাইছে সরকার। কারণ এর আগেও একাধিক গুজবের ভিত্তিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এই রাজ্যে। সোনার বাংলাদেশ আপাতত সেনার হাতে। কিন্তু সেই অজুহাতে তিলোত্তমা কলকাতা সহ রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলায় যেন তিলমাত্র ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য সচেষ্ট লালবাজার।