করোনাকালে বেতন ফেরত না দেওয়ার প্রশ্ন উঠেছে, এবং সেই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাকরিহারাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষকদের জন্য এক ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, চাকরিহারাদের (Kunal Ghosh)একটি অংশ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, এবং তারা প্রশ্ন তুলছে, কেন করোনাকালে বেতন ফেরত দেওয়া হয়নি এবং কেন তাদের স্কুলে যেতে বলা হচ্ছে।
কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মতে, চাকরিহারাদের অনেকেই এখন স্কুলে যাচ্ছেন, কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এবং বহু শিক্ষক এখন স্কুলে গিয়েছেন এবং কাজ করেছেন। যদি কারও মনে কোনো দ্বিধা থাকে, তবে সে দ্বিধা কাটিয়ে উঠবে।” তবে, কুণাল (Kunal Ghosh) এখানে বিরোধীদের ওপর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভলান্টিয়ারি সার্ভিস’ কথাটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। কুণালের (Kunal Ghosh) দাবি, ‘ভলান্টিয়ারি’ শব্দের আগে কিছু শব্দ ছিল যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এবং বিরোধীরা সেগুলো জানিয়ে বা বুঝে বিকৃতভাবে এই বক্তব্য ব্যবহার করছে।
করোনাকালে বেতন দেওয়া এবং স্কুলে যেতে না যাওয়ার প্রশ্নে কুণালের (Kunal Ghosh) তীব্র মন্তব্য ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, করোনাকালে যখন স্কুল বন্ধ ছিল এবং শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারেননি, তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নির্দিষ্ট তারিখে পুরো বেতন প্রদান করেছে। তিনি বলেন, “তখন কেন কেউ প্রশ্ন করেননি যে, স্কুলে না গিয়ে কেন বেতন নেবেন? এখন কেন বেতন ফেরত দেবেন?” এই প্রশ্নটি তুলে কুণাল তাঁর বিরোধীদের ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের প্ল্যান A, B, C রেডি আছে। আপনাদের কাজ করতে বলেছে, কেউ আপনাদের বাধা দেয়নি। ভলান্টিয়ারি সার্ভিস চলতেই পারে।” এই মন্তব্যের পর অনেকেই বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। তবে, চাকরিহারা (Kunal Ghosh) শিক্ষকদের একটি বড় অংশ কোনোরকম নোটিস ছাড়া স্কুলে যেতে নারাজ। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল বলেছেন, “বিরোধী দলগুলি শিক্ষকদের প্ররোচনা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তাঁদের রাজনীতি চালিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।”
একই সঙ্গে কুণাল (Kunal Ghosh) আরও বলেন, “যারা রাজনৈতিক প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তারা বিপথে চলছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যখন সমস্যার সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তখন রাজনীতি এবং বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকা উচিত।” কুণালের কথায়, এই মুহূর্তে শিক্ষকদের উচিত সমন্বয় রেখে এগিয়ে আসা এবং সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা, যাতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত থাকে, তেমনি অন্যদিকে চাকরিহারাদের স্বার্থও সুরক্ষিত থাকে।