সঞ্জয়ের নেতৃত্বে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর ‘পরামর্শ’ কুণালের

সোমবার শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরোনোর সময় আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে সরাসরি রাজ্য সরকারের…

Kunal's 'Advice' for the CPIM to Bounce Back Under main accused on RG Kar case Sanjay's Leadership

সোমবার শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরোনোর সময় আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে সরাসরি রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হচ্ছে। এরপরেই সঞ্জয়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্টের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ সেই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

আর এরই মধ্যে আজ রাম-বামের পাশাপাশি জুনিয়র ফ্রন্টকে নিশানা করে একটি পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মঙ্গলবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে রাম-বামকে খোঁচা দিয়ে আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নেতৃত্বে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন কুণাল। সেই পোস্টটিতে ঠিক কী লিখেছেন তৃণমূল নেতা?

   

কুণাল ঘোষ লিখেছেন, “জরুরি সার্কুলার !!!! রামরেডস অ্যান্ড জুনিয়র ফ্রন্ট, সঞ্জয় রাইর আগামী শুনানির দিন লাল, গেরুয়া পতাকা, উত্তরীয় নিয়ে শিয়ালদা কোর্টে আসুন। স্লোগান দিন: Justice for Sanjay. Go Back CBI।” সেইসঙ্গে ব্যানার আনার পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, “সঞ্জয় ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই। সুযোগ পেলে সঞ্জয়ের হাতে রক্তগোলাপের পতাকা দিন। আপনাদের দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে দিন। সঙ্গে মোমবাতি রাখবেন।”

তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোকে নিশানা করে বিশেষ করে বামকে কটাক্ষ করে তিনি আরও লিখেছেন, “কোর্টের কাজে সময় লাগলে পড়ন্ত বিকেলে মোমবাতি জ্বেলে বলবেন, ‘সঞ্জয় তুমি লড়াই করো, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।’ মনে রাখবেন, কলকাতা পুলিশ আর সিবিআই তদন্তকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। কমরেডস, সঞ্জয়ের নেতৃত্বে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে…।”

প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে গতকাল অর্থাৎ সোমবার চার্জ গঠিত হয়েছে। এদিন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জজওয়ান অনির্বাণ দাসের এজলাসে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (খুন), ৬৪(১) (ধর্ষণ) এবং ৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আগামী ১১ নভেম্বর থেকে রোজ এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলবে বলেও জানানো হয়েছে। আর এদিনই শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় চিৎকার করে বলে ওঠেন, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে কোন কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাকে জোর করে লোকের কাছে ছোট করে দেওয়া হচ্ছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ করিনি মার্ডার করিনি।

আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে। যে তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ।” ওদিকে এদিনই সঞ্জয়ের এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্টের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ প্রশ্ন টুলে বলেন, “কে তাঁকে ফাঁসাল? কেন ফাঁসাল? এর উদ্দেশ্য কী?” এর পাশাপাশি তিনি সিবিআইয়ের তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরও বলেন, “প্রায় তিন মাস হতে চলল।

এই ঘটনায় একজন ছাড়া কেউ গ্রেফতার হননি। আমরা প্রত্যেকেই জানি, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তা কোনও একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তাহলে সিবিআই এতদিন ধরে কী করছে? কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না?” আর এরপরেই রাম-বাম থেকে শুরু করে জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্টকে বিঁধে মঙ্গলবার এই পোস্টটি করেন কুণাল ঘোষ।