আরজি কর-কাণ্ডে তৃতীয় ‘তত্ত্ব’ সিবিআই-র, সঞ্জয় ছাড়া আর কারা জড়িত? প্রশ্ন কুণালের

আরজি কর-কাণ্ডে নতুন করে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও…

আরজি কর-কাণ্ডে নতুন করে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ধীরে ধীরে রহস্যের পর্দা তুলছে সিবিআই। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়, প্রাক্তন কলেজ প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও এসএইচও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই এই দুজনের বিরুদ্ধে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা এবং প্রমাণকে মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার অভিযোগ করেছে। সেই নিয়ে শিয়ালদহ আদালতকে জানিয়েওছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তবে এবার বড় মন্তব্য করলেন কুণাল।

Advertisements

আজ বুধবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘তদন্তে প্রশ্ন। সঞ্জয় একাই না একাধিক? সিবিআই কোর্টে বলেছে গণধর্ষণ নয়। অথচ যে শারীরিক অত্যাচার, তাতে একাধিক শক্তির প্রয়োগের অনুমান। সেক্ষেত্রে-
1) ধর্ষণ করে খুন?
2) নাকি, খুন করে ধর্ষণ?
3) নাকি, একাধিক ব্যক্তির আক্রমণে মারামারিতে মৃত্যু?

   

তারপর নজর ঘোরাতে সঞ্জয়ের মত কোনো নরপশুর প্রবেশ ও কুকর্ম? সঞ্জয়কে খবর দিয়ে আনা? সূত্রের খবর, তৃতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সেক্ষেত্রে, বাকিরা কারা? তারা এখন কোথায়? তর্ক, মারামারির কারণ কী? তদন্তে সবটা আসুক। ন্যায়বিচার হোক। কোনো জল্পনা নয়, নির্দিষ্টভাবে সমাধান জানাক সিবিআই।’

উল্লেখ্য, গতকালই শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল যে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইলে অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই ইঙ্গিত দেয়, কেন দু’জনকেই রিমান্ডে নিতে চায় তারা। সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক ধৃতদের তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

সিবিআই আদালতে জানায়, ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে ফোনালাপের প্রমাণ মিলেছে। শুধু এই দুজনের কথোপকথনই নয়, আক্রান্ত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর এই দুজনের কাছেও অনেক সন্দেহজনক ফোন আসে। সিবিআই জানিয়েছে, নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে সন্দীপ ও অভিজিতের সঙ্গে কারা যোগাযোগ করেছিল, তাঁদের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যেহেতু সিবিআই ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রমাণ জালিয়াতি এবং আরজি ট্যাক্স মামলায় তদন্তকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছে, তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে যে এই দুই ডজনের ফোন কল ডিটেলস রেকর্ড খতিয়ে দেখা দরকার।