সম্প্রতি আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে একটি গান লেখেন অরিজিৎ সিং। সোশাল মিডিয়াতে সেই গানের জন্য ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন গায়ক। শুক্রবার সেই গানের জন্যেই তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুনালের অভিযোগ এই গানটি লিখে পশ্চিমবঙ্গে ঘটে একটি ঘটনাকে “বাছাই করে সমালোচনা’ (Selective Criticism) করেছেন গায়ক।
অরিজিৎ সিং, ‘আর কবে?’ (Aar Kobe) বলে একটি বাংলা গান সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি প্রশ্ন করেছেন যে কতদিন মানুষ ধর্ষণ সংস্কৃতির বিষয়ে নীরব থাকবেন। তিনি এর পর আশা রাখছেন যে কলকাতার বাসিন্দাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে না।
আরজি কর কাণ্ডের আঁচ কলকাতা পুরসভায়, ওয়াকআউট বিজেপির
শুক্রবার একটি টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী গায়ককে তীব্র কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন যে কেন অরিজিৎ সিং মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের একটি স্কুলে যৌন নির্যাতনের শিকার দুই কিন্ডারগার্টেন মেয়ের বিচারের দাবিতে একই রকম একটি গান প্রকাশ করেননি। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, “অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো।তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি।কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়।মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে।কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?”
অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো।
তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি।
কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে।
কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 30, 2024
অলিম্পিক পদক বিজয়ী সাক্ষী মালিক গত বছর দিল্লিতে ভারতের প্রাক্তন রেসলিং ফেডারেশনের (ডব্লিউএফআই) সভাপতি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন যখন বেশ কয়েকজন কুস্তিগীর তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন।
গানের মাধ্যমে অরিজিৎ সিং শ্রোতাদের প্রশ্ন করেন- “কবে মন মুক্ত হবে? কবে চোখ খুলবে? কবে আমরা সহানুভূতি জানাব?” গানটি ইতিমধ্যেই ইউটিউবে ৩ লক্ষেরও বেশি ভিউ এবং ৪৭,০০০ লাইক অর্জন করেছে। এই গানটি দু’দিন আগে প্রকাশিত হয়েছিল যখন এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ থামাতে অস্বীকার করেন বিক্ষোভকারীরা। গানটির অর্থ ব্যাখ্যা করে অরিজিৎ সিং একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “এটি কেবল একটি প্রতিবাদী গান নয়, এটি একটি কর্মের আহ্বান। এটি একটি অনুস্মারক যে মহিলাদের সুরক্ষা এবং মর্যাদার জন্য আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি।”