পোড়ানো হল তৃণমূলের পতাকা, নাগরিক আবেগের আড়ালে এরা কারা? প্রশ্ন কুণালের

আরজি কর-কাণ্ডে দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম সমগ্র দেশ। চিকিৎসকদের…

আরজি কর-কাণ্ডে দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম সমগ্র দেশ। চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ বিষয়ে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। গতকাল বুধবার রাস্তা দখল থেকে শুরু করে রাত জাগো কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের তরফে। কিন্তু এসবের মাঝেই এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল। জ্বালানো হল তৃণমূলের (TMC Flag) পতাকা। আর এই নিয়েই এবার সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না। অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে সংগঠিতভাবে এটা করল। নাগরিক আবেগের আড়ালে এরা কারা? নাগরিকদের কিছু বিরক্তি এবং প্রতিবাদের সুযোগ নিয়ে এরা কী করতে চায়, ভাবুন।’

   

ইতিমধ্যে ঘটনার ছবিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের বাবা-মা। মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, মৃতদেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক তাঁদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বুধবার প্রথমবারের মতো মেয়ের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় নিহতের পরিবারের সদস্যদের এই বক্তব্য এসেছে। এ সময় নিহতের বাবা বলেন, ‘আমাদের এসব বিক্ষোভে অংশ নিতে হবে। আমরা আর কি করতে পারি? আমাদের এখনও অনেক প্রশ্ন আছে এবং আমরা পুলিশকে সবকিছু জিজ্ঞাসা করব।’ 

পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মামলাটি বন্ধ করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মৃত চিকিৎসকের বাবার অভিযোগ, ‘পুলিশ প্রথম থেকেই মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।’ তিনি জানান, ঘটনার রাতে মেয়ের দেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। কোনও তদন্ত না করেই বলা হয়েছিল, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এরপর ১২টা ১০ মিনিটে আমরা যখন হাসপাতালে পৌঁছাই, তখন মেয়ের মুখ দেখার জন্য আমাদের সেমিনার হলের বাইরে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত থানায় অপেক্ষা করতে হয়েছে।’