কলকাতা: ২১ জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় তৃণমূলের সভা ঘিরে আজ সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বড় প্রভাব পড়েছে (Kolkata public transport hamper)। বিশেষ করে মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রুটে বাস বা গণপরিবহণ কার্যত হাতে গোনা। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন যাঁরা, তাঁদের ভরসা এখন হেঁটে চলা, গাড়ির খোঁজে অপেক্ষা কিংবা ভিড় ঠেলে কোনওমতে চলমান বাসে ওঠা।
যানজটের অভাব
শিয়ালদহ থেকে মৌলালি-এই রুটে যানজটের ছবি সকালে বেশ স্পষ্ট। এনআরএস হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা জানান, তিনি জগদ্দল থেকে এসেছেন। যেতে চান কমান্ড হাসপাতালে। কিন্তু আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়েও কোনও যানবাহন পাননি। অন্যদিকে, সল্টলেক থেকে মেট্রোয় শিয়ালদহ পর্যন্ত এসে থমকে গিয়েছেন বিনীতা সিংহ। মেট্রোর বাইরে আর কোনও যানবাহন নেই। অ্যাপ ক্যাবও মিলছে না বলে জানান তিনি।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মৌলালি, এসএন ব্যানার্জি রোডের মতো রাস্তায় থেমে থেমে গাড়ি চলছে। বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে রাস্তার ধারে। একবার বাস, একবার মিছিল, এইভাবে পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণ করছে ট্রাফিক পুলিশ। শ্যামবাজার থেকে শিয়ালদহের দিক যাওয়া রুটে যানজট নেই, তবে মৌলালির দিকে হাঁটতে থাকা মানুষের সংখ্যা প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে।
মা উড়ালপুলের দিকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ
রাজভবন থেকে মা উড়ালপুলের দিকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে। শেক্সপিয়ার সরণি, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, ক্যাথিড্রাল রোডের মতো রাস্তাগুলিতে তুলনামূলকভাবে চাপ কম। ব্যারিকেড করে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিকল্প পথে।
তবে গণপরিবহণের অভাবে যাত্রীরা ভুগছেন বেশি। অটো বা বাস যেমন নেই বললেই চলে, তেমনই অ্যাপ ক্যাবও বহু এলাকায় ‘নট অ্যাভেলেবল’। মেট্রোই এখন শহরের সবচেয়ে কার্যকর পথ হলেও, সেখানে সকাল থেকেই প্রবল ভিড়।
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের সাহায্য ক্যাম্প থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই হচ্ছে মিছিল ও জমায়েত। তবে বাস্তবে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।