বিজেপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

বিজেপির ধর্না কর্মসূচীর (Rg kar medical college) শুরুতেই ভেস্তে দিল কলকাতা পুলিশ। শ্যামবাজারে বিজেপির কর্মসূচীর শুরুর আগেই ‘উধাও’ হয়ে গেল মঞ্চ। আর তারপরেই বিজেপির কর্মী…

bjp protest on shyambazar

বিজেপির ধর্না কর্মসূচীর (Rg kar medical college) শুরুতেই ভেস্তে দিল কলকাতা পুলিশ। শ্যামবাজারে বিজেপির কর্মসূচীর শুরুর আগেই ‘উধাও’ হয়ে গেল মঞ্চ। আর তারপরেই বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর এই বিক্ষোভ সামাল দিতে অতিসক্রিয় ভূমিকা নেয় কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। এইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি এই ঘটনার জেরে গর্জে ওঠেন।

আর জি করে রাতের ‘রণক্ষেত্রে’ দাঁড়িয়ে মিডিয়াকেই তুলোধোনা কমিশনারের!

   

বৃহস্পতিবার থেকেই শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে মেট্রোর ১ নম্বর গেটের কাছে ধর্নামঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর ১২টা পেরোতেই দেখা গেল অন্য ছবি। উধাও আস্ত ধর্নামঞ্চ। তাও কিনা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ধর্নামঞ্চ উধাও হয়ে গেল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ মঞ্চ খুলে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্য বিজেপির। সকলের দাবি, গতকাল থেকে শুরু করে আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটা অবধিও ধর্নামঞ্চ ছিল। ধর্নামঞ্চে বসার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু সেই মঞ্চ এখন উধাও।

‘রাত-দখলের’ স্বাধীনতার রাতে আর জি করে অবাধ ‘গুন্ডামি’র তাণ্ডব!

এদিকে ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানালেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ যখন কয়েকহাজার লোক আরজি করে প্রবেশ করে তখন কোথায় থাকে পুলিশ?’ এক বিজেপি নেত্রী প্রিজন ভ্যান থেকে বলেন, ‘এই কলকাতা পুলিশে আমাদের আস্থা নেই।’

আরজিকর কাণ্ডে ‘রাম-বাম’কে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রসঙ্গত আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কী ভাবে রক্ষা করবে?’’ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ করবে পুলিশ? জানতে চেয়েছে আদালত।