আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর বিবৃতি জারি কলকাতা পুলিশের

আরজি কর মামলায় অবশেষে সিবিআই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই দিনই রাত্রে তাঁদের সমাজ মাধ্যমে একটি বিবৃতি জারি করলো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। প্রসঙ্গত,…

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর বিবৃতি জারি কলকাতা পুলিশের

আরজি কর মামলায় অবশেষে সিবিআই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই দিনই রাত্রে তাঁদের সমাজ মাধ্যমে একটি বিবৃতি জারি করলো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে তুলে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে।

মঙ্গলবার তাঁদের পোস্টে ‘পেশাদারিত্ব এবং সর্বোচ্চ দক্ষতার’ সঙ্গে সামলানো হয়েছে বলে জানায় কলকাতা পুলিশ। চারদিনের কম সময়ে মামলায় অনেকটা এগোতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। হাইভার্টের নির্দেশ মেনে সিবিআইকে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। মৃতা ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পাই সেটাই কলকাতা পুলিশের লক্ষ্য বলে জানানো হয় পোস্টে।

এদিন পোস্টে লেখা হয়, “আর.জি. কর হাসপাতালের ছাত্রীর সাম্প্রতিক মর্মান্তিক মৃত্যুর মামলার তদন্তে আদ্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে কলকাতা পুলিশ, যার ফলে চার দিনেরও কম সময়ে মামলাটির তদন্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় হাইকোর্টের আদেশে আমরা এখন মামলার সমস্ত নথি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। মৃতার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সবরকম সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এছাড়াও পোস্টে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ এই কেস সংক্রান্ত বেশ কিছু মিথ্যে গুজব ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। যাচাই করার আগে সোশাল মিডিয়াতে বা গণমাধ্যমকে কোনও তথ্য শেয়ার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে যে সংস্থায় তদন্ত করুক, তাদের তদন্ত এই গুজবের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisements

এই উদ্দেশ্যে তারা পোস্টে লিখেছে, “অপরাধের তথাকথিত বিবরণ সম্পর্কে সামাজিক এবং মূলধারার মিডিয়ায় অজস্র গুজব ছড়িয়েছে, যা ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন এর চেয়ে বিশদে না গিয়ে আমরা আবারও সকলকে অনুরোধ করব, যাচাই না করে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা সে যার দ্বারাই পরিচালিত হোক না কেন।”

প্রসঙ্গত এইদিন কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের রায়ে জানায় যে, সিসিটিভি ফুটেজও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ এবং হাসপাতালের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরি নিয়েও সন্তুষ্ট নয় তারা। কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশকে কটাক্ষ করে জানায় যে পাঁচদিন পরেও কেসে উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি করতে পারেননি তারা।

আদালত জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে, তাঁদের নিদেশে আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।