৫০০ কেজি নিষিদ্ধ আতশবাজি সহ কলকাতা পুলিশের জালে ২৯২ জন

কালীপুজোয় নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো। ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ আতশবাজি সহ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) জালে ২৯২ জন।কলকাতা পুলিশ বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ (banned) আতশবাজি…

Kolkata Police banned firecrackers

কালীপুজোয় নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো। ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ আতশবাজি সহ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) জালে ২৯২ জন।কলকাতা পুলিশ বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ (banned) আতশবাজি (firecrackers) পোড়ানো এবং বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য ২৯২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৫০০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে কালীপুজো এবং দীপাবলি উদযাপন করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষে শহর জুড়ে রঙিন আলোর সজ্জা এবং প্যান্ডেলের সাজসজ্জা গোটা রাজ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে, এই আনন্দের মাঝে পুলিশ বেপরোয়া আতশবাজি ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

   

কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, গ্রেফতার হাওয়া ব্যত্তিদের মধ্যে অনেকেই নিষিদ্ধ আতশবাজি ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল।পুলিশ ঘটনার পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করেছে। পাশাপাশি, অভিযান চলাকালীন ৫০০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ আতশবাজি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের এই কঠোর পদক্ষেপের ফলে উৎসবের সময় বিশৃঙ্খলা কিছুটা কমেছে। তারা সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা নিরাপদভাবে উৎসব উদযাপন করে এবং আইন ভঙ্গ থেকে বিরত থাকে। পুলিশের কাছে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, অনেক নাগরিক আতশবাজি পোড়ানোকে নিরাপদ মনে না করে এ বছর তারা বেশি সজাগ ছিলেন। পরিবেশের সুরক্ষার পাশাপাশি নিজেদের এবং অন্যদের নিরাপত্তার দিকে তাদের মনোযোগ ছিল।
কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনারও বলেন, “আমরা আতশবাজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চালিয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য হলো, উৎসবের আনন্দকে নিরাপদে উপভোগ করা। নাগরিকদের উচিত আতশবাজি পোড়ানোর পরিবর্তে অন্য কিছু উপায়ে উৎসব উদযাপন করা।”

অতীতে আতশবাজির কারণে অগ্নিকাণ্ড এবং দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, যা পুলিশ এবং প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তাই, কলকাতা পুলিশ এবারের উৎসবের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে, কলকাতা পুলিশের এই অভিযান উৎসবের সময় একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে এবং নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।