কলকাতার তেলেঙ্গাবাগান এলাকায় দুই বাসের রেষারেষির (Kolkata Accident News) কারণে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর একটি দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দুর্ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং বেপরোয়া বাস চালানোর কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা (Kolkata Accident News) ঘটছে। দুর্ঘটনায় এক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকাতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা বাসে ভাঙচুর চালায়।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাগবাজার-গড়িয়া (Kolkata Accident News) স্টেশনের একটি বাস এবং হাওড়া-বারাসাত রুটের জনপ্রিয় L238 বাসের রেষারেষির কারণে। এই দুটি বাস একটি একে অপরকে অতিক্রম করতে গিয়ে রেষারেষি (Kolkata Accident News) শুরু করে এবং এর ফলে ওই মহিলা বাসের চাকার নিচে পড়ে যান। মহিলার পায়ের উপর বাসের চাকা উঠলে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যরা তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, মানিকতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে (Kolkata Accident News) উপস্থিত থাকলেও তারা কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তেলেঙ্গাবাগান এলাকায় নিয়মিতভাবে বেপরোয়া গতিতে বাস চলাচল করে, যা প্রায়ই দুর্ঘটনার (Kolkata Accident News) কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনার পরেও পুলিশ কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় না, এমন অভিযোগ তাদের। এলাকাবাসীদের দাবি, তারা বারবার প্রশাসনকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছে, কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে স্থানীয়দের মতে, পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং বেপরোয়া বাস চালানো নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আরও বিপদ হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার পর বাসে ভাঙচুর চালানোও প্রমাণ করে যে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বাস চালকদের অতি দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এতে সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এলাকার মানুষজন আরও দাবি করছেন, পুলিশ যদি নিয়মিতভাবে টহল দেয় এবং অতিরিক্ত গতিরোধক ব্যবস্থা নেয়, তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। এছাড়া বাস কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষকেও তাদের চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সচেতন করতে হবে, যাতে তারা নিরাপদে গাড়ি চালায় এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
এ ঘটনার পর, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকার জন্য স্থানীয়রা আহ্বান জানিয়েছেন। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।