বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি ২ দিন ঘোষণা কলকাতা পুরসভার

বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ঈদ-উল-ফিতরের জন্য দু দিন ছুটি ঘোষণা করলেন কলকাতা পুরসভা। যা নিয়ে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল…

বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ঈদ-উল-ফিতরের জন্য দু দিন ছুটি ঘোষণা করলেন কলকাতা পুরসভা। যা নিয়ে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

বুধবার অর্থাত্ মহাশিবরাত্রির দিন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেছেন,‘শিবরাত্রির সকালে বাঙালির জানা দরকার পশ্চিমবঙ্গটা পশ্চিমবঙ্গই আছে না পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছ। কলকাতার মেয়র জনাব ফিরহাদ সোহরাবর্দি হাকিম, যিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রকে মিনি পাকিস্তান বলেন। দাওয়াত এ ইসলামের কথা বলেন, ভিনধর্মীদের ইসলাম কবুল করার কথা বলেন। মুসলমানদের জনসংখ্যা বাড়িয়ে সংখ্যাগুরু হওয়ার কথা বলেন, তাঁর আমলে এবার কলকাতা শহরে বিশ্বকর্মার ছুটি বাতিল করা হল। এবং বিশ্বকর্মার ছুটি বাতিল করে কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলিতে ইদ – উল – ফিতরের ছুটি ২ দিন করা হল। সারা ভারতে ইদ – উল – ফিতরের ছুটি ১ দিন হয়। কিন্তু কলকাতা পুরসভা যেহেতু জনাব ফিরহাদ সোহরাবর্দি হাকিমের দ্বারা শাসিত তাই এখানে ২ দিন করা হল।’

   

বিশ্বকর্মা পুজো, যা মূলত কোলকাতার শিল্পী এবং শ্রমিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, সেটি বাতিল করে ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত কলকাতায় বিশেষভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বিশেষ করে বাঙালি সনাতনিরা এই সিদ্ধান্তে তাদের অনুভূতি ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগ করেছেন। চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “মহাশিবরাত্রির সকালে, প্রত্যেক বাঙালির মনে প্রশ্ন উঠতে হবে— পশ্চিমবঙ্গ এখন কি ভারতেই আছে, না পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেছেন যে রাজ্যের মুখিয়া অমৃতকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেন তাঁর প্রিয় ববি বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি ২ দিন বাড়াবে সেটাই তো স্বাভাবিক। সনাতনী বাঙালি ভাবুন আমরা কোন পথে চলেছি। ছাব্বিশে বিদায় করুন, নইলে আপনাকে এই বাংলা থেকে বিদায় হতে হবে।’