রেমালের জেরে তছনছ মেট্রো পরিষেবা, আরও দুর্ভোগে যাত্রীরা

রেমালের দাপটে ফের মেট্রো বিভ্রাট। আপাতত গিরিশ পার্কের পর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা। যদিও দক্ষিণেশ্বর…

kolkata metro last train timming changed Lets find out whole details , আজ থেকে কলকাতা মেট্রোর রাত্রীকালীন পরিষেবা বন্ধ, জানুন শেষ ট্রেনের সময়

রেমালের দাপটে ফের মেট্রো বিভ্রাট। আপাতত গিরিশ পার্কের পর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা। যদিও দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।

রবি রাতভর দাপট দেখিয়েছে রেমাল। তীব্র বেগে ঝড়, ঝেঁপে বৃষ্টিতে বির্পযস্ত কলকাতা। রাস্তায় রাস্তায় জমেছে জল, উপড়ে পড়ে রয়েছে গাছ। তিলোত্তমার অনেক অংশই একেবারে তছনছ। ভোটের জেরে রাস্তায় গণপরিবহণ তলানীতে। এ দিকে সোমবারও বিকেল পর্যন্ত তিলোত্তমায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতে সপ্তাহের শুরুতে অফিস যেতে মেট্রোয় প্রবল ভরসা ছিল যাত্রীদের। কিন্তু, বিধি বাম। রেমালের জেরে সোমবার সকালেই কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ শাখায় বিভ্রাট! ফলে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।

   

রেমালে বিপর্যস্ত রেল! শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপাতত বন্ধ ট্রেন চলাচল

সোমবার সকালে গিরিশ পার্কের পর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। তবে, দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।

কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মাঝে জল জমে রয়েছে। তার ফলেই বন্ধ করতে হয়েছে পরিষেবা। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। যদিও আবার কখন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Cyclone Remal Update: আজ দিনভর চলবে বৃষ্টি, দুই জেলায় জারি ‘লাল সতর্কতা’

এর আগে রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে মেট্রো পরিষেবা আংশিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। টালিগঞ্জ (মহানায়ক উত্তম কুমার) স্টেশনের পর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা প্রায় ঘণ্টাদু’য়েক বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রাতের দিকেও নির্ধারিত সময় মেট্রো পেতে সমস্যায় পড়েছিলেন যাত্রীরা।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে কলকাতার হাওয়ার গতিবেগ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম ছিল। তবে শহরবাসীর বৃষ্টি থেকে এখনই রেহাই মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, কলকাতায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৫৮টি গাছ ভেঙে পড়েছে। যদিও গাছ সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ চলছে। সবমিলিয়ে জলযন্ত্রণায় কলকাতাবাসী।