মহালয়ায় নয়া মেট্রো সূচি, ব্লু লাইনে, জানুন সময়সূচি

দুর্গাপুজোর আগমন বার্তা নিয়ে আসে মহালয়া। এই দিনেই দেবীপক্ষের সূচনা হয় এবং পুজোর আবহ তৈরি হয় চারদিকে। প্রতি বছরই এই দিনটিতে শহরের নানা প্রান্ত থেকে…

Kolkata Metro Adds Special Blue Line Trains for Mahalaya Rush

দুর্গাপুজোর আগমন বার্তা নিয়ে আসে মহালয়া। এই দিনেই দেবীপক্ষের সূচনা হয় এবং পুজোর আবহ তৈরি হয় চারদিকে। প্রতি বছরই এই দিনটিতে শহরের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে। কলকাতার মেট্রো (kolkata Metro) রেলপথও এই দিনটিতে যাত্রীতে ঠাসা থাকে। তাই এ বছরও যাত্রীদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

এ বছর মহালয়া তিথি পড়েছে রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর। সাধারণত রবিবারে মেট্রোর পরিষেবা থাকে সীমিত। প্রতিদিনের তুলনায় কমসংখ্যক ট্রেন চালানো হয়। ফলে যাত্রীদের প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কিন্তু পুজোর আগে মহালয়া দিনটিতে যাত্রীদের ভিড় বাড়বে বলেই আগে থেকেই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে মেট্রো রেল।

   

কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সাধারণ রবিবারে যেখানে প্রায় ১৩০টি মেট্রো ট্রেন চলে, সেখানে মহালয়ার দিন বাড়তি মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন ব্লু লাইনে চলবে ১৮২টি মেট্রো ট্রেন। এর মধ্যে আপ লাইনে থাকবে ৯১টি এবং ডাউন লাইনে থাকবে ৯১টি মেট্রো। অর্থাৎ প্রায় ৫২টি ট্রেন বেশি চালানো হবে যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে।

প্রতিবছরই মহালয়ার দিন গঙ্গার ঘাট থেকে শহরের নানা প্রান্তে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। তর্পণ শেষে যাত্রীরা বাড়ি ফেরেন বা পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকেন। সেই সময় মেট্রোতে যাত্রীচাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। সাধারণ রবিবারের সীমিত ট্রেন চলাচল সেই চাপ সামলাতে পারে না। তাই এবার আগে থেকেই যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Advertisements

যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ এখনও পৃথক কোনও সময়সূচি প্রকাশ করেনি, তবে সাধারণত রবিবারে যে বিরতিতে ট্রেন চলে, মহালয়ার দিন সেই ব্যবধান কমিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের বেশি সুবিধা দেওয়ার দিকে জোর দেওয়া হবে। এতে ভিড় সামলানো সহজ হবে এবং যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে।

শহরের যাত্রীরা এই সিদ্ধান্তে খুশি। অনেকেই বলেছেন, “মহালয়ার দিন তর্পণের পর বাড়ি ফেরার সময় ভীষণ ভিড় হয়। এবার বাড়তি ট্রেন থাকলে অন্তত একটু স্বস্তি মিলবে।” নিয়মিত অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবাই মেট্রোর এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন।