বাংলার বর্ষা ঢুকলেও (Kolkata Market Price) এখনও নিস্তার মেলেনি গরম থেকে। উত্তরবঙ্গ ভেসে গেলেও এখনও সে-রকম বৃষ্টি হয়নি দক্ষিণবঙ্গে। আর তার জেরেই সবজির দাম আকাশছোঁয়া (Kolkata Market Price)। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্রই সবজির আগুনদর। পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে মাছ-মাংসের। মুরগির ডিম এবং হাঁসের ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী।
কলকাতার বাজারে চন্দ্রমুখী আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। জ্যোতি আলুর দাম অবশ্য কিছুটা কম। বেগুন ১৫০ টাকা কেজি, টম্যাটো ৮০, লঙ্কা ১৩০, আদা ২২০ টাকা, রসুন ৩০০ টাকা, উচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, বিনস ২০০ টাকা, সজনে ডাঁটা ২৫০ থেকে ৩০০, ঢ্যাঁড়শ ৮০, পটল ৫০, পেঁপে ৫০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে।
মাছের দাম শুনলেও আপনার চোখ কপালে উঠবে। রুই কেজিতে ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতলা কেজিতে ৪০০-৪৫০ টাকা, ট্যাংরা ৭০০, পাবদা ৬০০-৭০০, পমফ্রেট ৮০০ টাকা কেজি, ভেটকি ৮০০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, গলদা চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকাতে বিকোচ্ছে। ইলিশের দাম ওজন অনুযায়ী, দেড় কেজির বেশি হলে দাম প্রায় ২০০০ টাকা কেজি।
বন্ধ করুন একাধিক ‘সিম’, হতে পারে জেল, সাথে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা, জানুন
এদিকে আগুন বাজার দেখেই ময়দানে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক করেন তিনি। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরাও যোগ দেন বৈঠকে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও ছিলেন বৈঠকে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বাজারে বাজারে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স এবং এনফোর্সেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ কাঁকুরগাছির ভিআইপি মার্কেট পরিদর্শন করেন্ন তাঁরা। খুচরো ব্যবসায়ীদের থেকে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা। বাজার কমিটির কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন টাস্ক ফোর্স এবং এনফোর্সেন্ট ব্রাঞ্চ।
বৃষ্টিকে ভিলেন বানিয়ে বাংলার জিনিস ঘুরিয়ে বাংলাকেই বিক্রি? জানুন মূল্যবৃদ্ধির আসল সত্যি!
