দূষণ নিয়ন্ত্রণে সেরা কলকাতা পুরসভা, ঝুলিতে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি

পরিবেশ দিবসে এক গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা (Kolkata Corporation) কলকাতা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করে দেশের মধ্যে ‘সেরার সেরা’ স্বীকৃতি লাভ করল কলকাতা…

Kolkata Corporation Ranked Best in India for Pollution Control

পরিবেশ দিবসে এক গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা (Kolkata Corporation) কলকাতা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করে দেশের মধ্যে ‘সেরার সেরা’ স্বীকৃতি লাভ করল কলকাতা পুরসভা। ‘মা-মাটি-মানুষ’ সরকারের অধীনে রাজ্যের এই সাফল্য যেন এক উজ্জ্বল পালক হয়ে(Kolkata Corporation) উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রশাসনের মুকুটে। বিরোধীদের লাগাতার সমালোচনার জবাব দিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই স্বীকার করতে বাধ্য হল—পরিবেশ রক্ষায় কলকাতা পুরসভার অবদান সর্বোচ্চ প্রশংসার যোগ্য(Kolkata Corporation) 

এই সম্মানের কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার(Kolkata Corporation) করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই সাফল্য শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভার নয়, এটা সমগ্র বাংলার গর্ব। রাজ্যের পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি আমাদের সরকার কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তারই প্রমাণ এই পুরস্কার।”(Kolkata Corporation) 

   

পুরমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান,(Kolkata Corporation) পরিবেশ উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা পুরসভাকে মোট ২০০ কোটি টাকা(Kolkata Corporation) বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকা সরাসরি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এবং অতিরিক্ত ১৭ কোটি টাকা উৎসাহ ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এই অর্থ শহরের বৃক্ষরোপণ, বর্জ্য অপসারণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বায়ুর গুণমান বৃদ্ধি করার বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে(Kolkata Corporation) 

ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “আজকের দিনে আমরা গর্ব (Kolkata Corporation) করতে পারি যে, মুখ্যমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও রাজ্য সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই(Kolkata Corporation) কেন্দ্রীয় সরকারকেও পরিবেশের ক্ষেত্রে বাংলার সাফল্য স্বীকার করতে হয়েছে। অনেক সময় বিরোধী দল অপপ্রচার করে কলকাতার দূষণ নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলে। কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে দিল, তারা নিজেরাই কলকাতার উন্নয়ন মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।”(Kolkata Corporation) 

পুরমন্ত্রী নাগরিকদের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দেন। (Kolkata Corporation) তিনি বলেন, “শহরের প্রতিটি নাগরিকের উচিত গাছ লাগানো। আজ বড় গাছ লাগানোর জায়গা কমছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের বাড়ির ছাদ, বারান্দা বা ব্যালকনিতে টবে গাছ লাগানো সম্ভব। পরিবারে যত সদস্য, তত গাছ লাগান—এই হোক আমাদের সঙ্কল্প।(Kolkata Corporation) 

Advertisements

তাঁর মতে, নাগরিক উদ্যোগ ছাড়া কেবল সরকারি প্রচেষ্টায় পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের বাসস্থানকেই একটি সবুজ প্রাঙ্গণে রূপান্তরিত করা।(Kolkata Corporation) 

কলকাতা পুরসভার এই সাফল্য শুধু পরিবেশ দিবসের(Kolkata Corporation) তাৎপর্যকেই আরও গম্ভীর ও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে না, পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। একদিকে বিরোধীদের অপপ্রচারের(Kolkata Corporation) বিরুদ্ধে এক প্রকার জবাব দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে রাজ্যের পরিবেশ-নীতি যে বাস্তবেই কার্যকর এবং সঠিক পথে এগোচ্ছে, তা প্রমাণিত হয়েছে।(Kolkata Corporation) 

সবশেষে বলা যায়, কলকাতার এই অর্জন সমগ্র রাজ্যের কাছে এক প্রেরণার উৎস। আজকের এই স্বীকৃতি আগামী দিনে আরও দায়িত্বশীল হয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের পথে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগাবে প্রশাসন ও নাগরিক সমাজ—দু’জনকেই। কারণ প্রকৃতি রক্ষা মানেই ভবিষ্যৎ রক্ষা, আর এই দায়িত্ব আমাদের সকলের(Kolkata Corporation)