ভোটের বাজারে হট কেক। তাঁর কথায় বিতর্ক হয়। সোশাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বইতে শুরু করে। তাঁর হাসিতে মুক্ত আছে কিনা জানা নেই। তবে হাসি নিয়েও মিমের ঝড় ওঠে। তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।
এই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম রচনা নয়। রচনা নামটি সিনে দুনিয়া থেকে প্রাপ্তি। কারণ আসল নামের নায়িকা হলে কদর পাওয়া যাবে না। তাই নাম বদল। আর এই নাম বদলের পিছনে পরিচালক সুখেন দাস। তিনিই ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বদলে পচনা বন্দ্যোপাধ্যায় করেন। হ্যাঁ, রচনার আসল নাম ঝুমঝুম।
সালটা ১৯৯১। মিস ক্যালকাটার শিরোপা যেতেন ১৯ বছরের ঝুমঝুম। কৈশরের শেষ লগ্নে থাকা ঝুমঝুমের উপর নজর পরে পরিচালক সুখেন দাসের। তাঁর পরের ছবি দান-প্রতিদানে দেখা যায় ঝুমঝুমকে। তবে ততদিনে নায়িকার নাম বদলে দিয়েছেন পরিচালক সুখেন দাস। ঝুমঝুম তখন রচনা। দান-প্রতিদান ছবির অভিনেত্রী। সেই থেকে ঝুমঝুম নামটাই যেন অতীত হয়ে গিয়েছে। বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ছবিতেও অভিনয় করছেন রচনা। সেই সূত্রেই ওড়িয়া নায়ক সিদ্ধান্ত মোহান্তির সঙ্গে আলাপ। প্রেম। তারপর বিয়ে। রচনার সেই বিয়ে ভেঙেও গিয়েছে।
২০০৪ সালে রচনা-সিদ্ধান্তর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২০২৪ সালে তাঁরা একসূত্রে বাঁধা পড়েছেন। সেই সূত্র হচ্ছে রাজনীতি। বিজু জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ সিদ্ধান্ত এখন বিজেপিতে। আর হুগলিতে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধেই লড়ছেন রচনা। তাঁর প্রতীক ঘাসফুল। অভিনয়, সঞ্চালনা থেকে রাজনীতি। ঘটনাচক্রে রচনার জন্মদিন দোসরা অক্টোবর। গান্ধিজির জন্মদিনের দিন। ১৯৭১ সালে তাঁর জন্ম। কলকাতায় পড়াশোনা। সাউথ সিটি কলেজের প্রাক্তনী। তবে কলেজের পাঠ শেষ করেননি রচনা। কৈশরের শেষ লগ্ন থেকেই পর্দায়।