কলকাতা পুরসভায় (KMC) বিপুল জয়ী হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস ততোধিক বিরাট কটাক্ষের মুখে পড়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন বন্ধের নোটিশের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চলছে ক্ষোভ সুনামি। সর্বাধিক আলোচিত বাক্য ‘দুয়ারে আর্থিক সংকট’।
রাজ্য সরকারের ‘দুয়ার’ কর্মসূচির একাধিক পদক্ষেপ নিয়েই কটাক্ষ চলে বিরোধী দল বিজেপির পক্ষে। বাদ যায় না বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরাও। সেই রেশ ধরে কলকাতা পুরসভার পেনশন বন্ধের নোটিশ ঝুলতেই ‘দুয়ারে আর্থিক সংকট’ কটাক্ষ শুরু হয়েছে।
তৃ়ণমূল কংগ্রেস সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির কারণে বিজেপির কটাক্ষ, দুয়ারে গুণ্ডা সরকার। আবার মদ পৌঁছে দেবার ইস্যুতে সিপিআইএমের কটাক্ষ ‘দুয়ারে মদ’। সেই রেশ ধরে পুরসভার পেনশন বন্ধের নোটিশ থেকে দুয়ারে আর্থিক সংকট কটাক্ষ চলছে।
পেনশন বন্ধের নোটিশে পুরসভার আর্থিক সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস। এর পরেই বিরোধীদের কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ হচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে আরও তীব্র আক্রমণ চলছে।
রাজ্য সরকারের কোষাগারে বিপুল ঘাটতি। বাজার থেকে ধারের পরিমাণ সর্বকালীন রেকর্ড করতে চলেছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, রাজ্য ভিত্তিক ধার নেওয়ার তালিকায় বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। যদিও এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের।
রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেবে বঙ্গ। নতুন বছরের শুরুতেই গত ৬ জানুয়ারি দেশের নয় রাজ্য বাজার থেকে মোট ১৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷
বিগত বাম আমলে বাংলার কাঁধে যে ঋণ ছিল, তা এখন বেড়েছে কয়েক গুণ। বাম শাসনে রাজ্যের মোট ঋণ ছিল ১ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বোঝার পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা।