News Desk: তিরুঅনন্তপুর কর্পোরেশনের ক্ষমতায় থাকা সিপিআইএমের ‘কর্পোরেট লুক’ কাজকর্ম দেখে চমকে যায় দেশ। এমনকি ভিনদেশিরাও। একই দলের দখলে কলকাতা কর্পোরেশন (KMC election ) দীর্ঘ সময় থাকলেও কিন্তু অমনটা হয়নি। ঠিক যেন দুয়োরানি ! কেন? উত্তর নেই কোনও বাম নেতার কাছেই। মাঝে মধ্যে দু’একজন বঙ্গ বাম নেতার আক্ষেপ, আরে দলটাই তো শূন্য হয়ে গেল বিধানসভায়। আর এসব বলে কী হবে !
তবে ছোট লালবাড়ি অর্থাৎ কলকাতা পুরভবন দখলের যুদ্ধে আছে বামফ্রন্ট। আছেন পুরনিগমের অত্যন্ত পরিচিত, আলোচিত সিপিআইএম নেতা ফৈয়াজ আহমেদ খান। বামফ্রন্ট যদিও ঘোষণা করেনি, তবে প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ফৈয়াজ অঘোষিত ‘মেয়র মুখ’, বামেদের খাতায় পুরভোট যুদ্ধের ‘সেনাপতি’।
পড়ুন: KMC Election: মনে আছে বাজপেয়ীর কবিতা, মীনাদেবী পুরোহিত বিজেপির মেয়র মু়খ?
ফৈয়াজ আহমেদকে কব্জা করতে আদা জল খেয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলত্যাগের অনেক সদুপদেশ পেয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহল থেকে। পক্ষত্যাগ করেননি। দলের প্রতি আস্থা রেখেছেন। দলও ভরসা করেছে। তবে পক্ষত্যাগ করেছেন ফৈয়াজের ঘনিষ্ঠ বিলকিস বেগম। সিপিআইএম প্রার্থী না করায় বিলকিস তৃণমূলে ঢুকেই প্রার্থী হয়েছেন।
বাম আমলেই টিএমসি-বিজেপি জোটের মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় নেতৃত্বে পুরবোর্ড হয়েছিল কলকাতা পুরনিগমে। ২০০৫ সালে পরাজিত হয় সেই জোট। ফের ছোট লালবাড়ি দখল করেছিল বামফ্রন্ট। সেবার মেয়র হন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর মেয়র পারিষদ হিসেবে সামনে চলে এসেছিলেন ফৈয়াজ আহমেদ। কলকাতা বন্দর এলাকায় মমতাকে রুখতে ফৈয়াজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে এখনও মেনে নেন বাম নেতারা।
বাম জমান শেষ হলেও বন্দর এলাকার রাজনীতির অনেকটা হাতছাড়া হয় ফৈয়াজের। তবে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে সরাসরি টিএমসির মুখোমুখি হন তিনি। থমকে যায় শাসক দল। সেই সুবাদে ওয়ার্ড ভিত্তিক সংগঠন এখনও ধরে রেখেছেন।
অভিযোগ, দেশের অন্যতম মহানগরের পুরনিগম দীর্ঘ বাম জমানায় যে পর্যায়ে ওঠার কথা ছিল তা হয়নি। আবার এও অভিযোগ, গত দশ বছরে পুরসভা ভিত্তিক দুর্নীতির চূড়ায় উঠতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হচ্ছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস।
<
p style=”text-align: justify;”>এই অভিযোগগুলি নিয়েই ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন ‘পরিষেবাদাতা’ হিসেবে পরিচিত ফৈয়াজ আহমেদ খান। তার মতো নেতাদের কাঁধে ভরসা রাখছে বামফ্রন্ট।