বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধে উঠা (Anubrata Mondal) অভিযোগের পর, তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল মঙ্গলবার। তদন্তের খাতিরে লিটন হালদারের দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়, যা কিছুটা হলেও পুলিশের দিকে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু অভিযোগের পরবর্তী পর্বের ঘটনা এখন পুলিশের মধ্যে এক বিশাল অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে।(Anubrata Mondal)
প্রথমত, লিটন হালদারের বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসার (Anubrata Mondal) বা আইও-দেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠছে, কারণ এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পুলিশ বিভাগকে কোনও প্রকারের অসঙ্গতি সহ্য করতে হবে না।(Anubrata Mondal) তদন্তের স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিতেও পুলিশের একাংশের মধ্যে গভীর ক্ষোভ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয়, লিটন হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী, তথা অভিযুক্ত—রাজনৈতিক নেতা অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)—এখনো পুলিশের নোটিসের আওতায় আসেননি(Anubrata Mondal)
কেষ্ট, যিনি বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, সম্প্রতি লিটন (Anubrata Mondal) হালদারকে ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁর মা ও স্ত্রীর নাম উল্লেখ করে হুমকি দেন। এমন ঘটনায় পুলিশ কিন্তু এখনো কেষ্টকে তৃতীয় নোটিস পাঠায়নি। পুলিশ জানিয়েছে(Anubrata Mondal) যে, কেষ্ট বর্তমানে চিকিৎসকের সাথে ‘বেড রেস্টে’ রয়েছেন। রবিবার, কেষ্ট তাঁর চিকিৎসকের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পুলিশে জমা দেন, যা অনুযায়ী তিনি পাঁচ দিনের বিশ্রামে আছেন। এই বিশ্রামের মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হবে। এরপর পুলিশ কেষ্টকে তৃতীয় নোটিস পাঠাবে কি না, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।(Anubrata Mondal)
কেষ্ট এর আগে একাধিকবার(Anubrata Mondal) পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলে গেছেন, কিন্তু এবার কি পুলিশ তাকে শাস্তির আওতায় আনবে? জেলা পুলিশের মধ্যে এখন নানা ধরণের আলোচনা চলছে। পুলিশ বিভাগের একাংশ মনে করছে, যেভাবে একজন রাজনৈতিক নেতা আইসি-কে গালিগালাজ (Anubrata Mondal) করেছেন এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরও পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি, তা পুলিশের ওপর প্রশ্ন তোলার জন্য যথেষ্ট। বিশেষ করে কেষ্ট-এর বিরুদ্ধে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে একাংশ পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ। তবে, পুলিশও এই অবস্থানে আছে, কেননা রাজনৈতিক চাপ এবং প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের কারণে তারা কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।(Anubrata Mondal)
তবে যদি কেষ্ট ‘বেড রেস্টে’ শেষ হওয়ার পরেও হাজিরা না দেন, তাহলে পুলিশ কী পদক্ষেপ নেবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনিক মহল থেকে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কেষ্ট যদি চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দেখিয়ে আবার হাজির না হন, তবে পুলিশ তাকে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।(Anubrata Mondal)
এদিকে, কেষ্ট-এর অনুগামী, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নেতা বিক্রমজিৎ সাউও পুলিশের নজরে এসেছেন। গত সপ্তাহে, বিক্রমজিৎ ফেসবুক লাইভে এসে বোলপুর থানার আইসি লিটন(Anubrata Mondal) হালদারকে আক্রমণ করেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং তাকে বুধবার থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সকালে ১০টা পর্যন্ত তাকে থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। টিএমসিপি বিক্রমজিতকে (Anubrata Mondal) সাসপেন্ড করলেও, পুলিশের কাছে তার হাজিরা চাওয়ায় বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। বিক্রমজিৎ সকালে থানায় পৌঁছালেও, পুলিশের পক্ষ থেকে তার হাজিরার জন্য তদন্তকারী অফিসারের আগমন এবং কেষ্ট সম্পর্কিত মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের সত্যতা নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি(Anubrata Mondal)
এই সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে যে, পুলিশ প্রশাসন এখন একটি সংকটময় মুহূর্তের মধ্যে দাঁড়িয়ে। লিটন হালদারের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ এবং কেষ্ট-এর বিরুদ্ধে এখনও কোনও শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া, পুলিশের দৃষ্টিতে আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। জেলা পুলিশ কর্তারা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হলেও, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক চাপের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে তারা সময় নিচ্ছেন। তবে, যদি কেষ্ট যথাসময়ে হাজির না হন, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটা নজরে থাকবে।
এদিকে, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে চলমান চাপের মধ্যে, কেষ্ট ও লিটন হালদারের এই পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সংকটের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয়ও হয়ে দাঁড়িয়েছে(Anubrata Mondal)