রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। (Furfura Sharif) তৃণমূলের সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলে কাশেম সিদ্দিকীর নাম উঠে আসায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, কাশেম সিদ্দিকী তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে কবে যোগ দিয়েছেন, সেই বিষয়ে প্রকাশ্যে । (Furfura Sharif)
কিছুই জানা যায়নি। অথচ তাঁকে সরাসরি(Furfura Sharif) দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দিল তৃণমূল। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।দলীয় সূত্রে খবর, প্রকাশ্যে কোনও অনুষ্ঠান ছাড়াই কাশেম (Furfura Sharif) সিদ্দিকী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দলে যোগ দিয়েছেন। সাধারণত তৃণমূলে যোগদানকারী নেতারা কোনও রাজনৈতিক সভা বা দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা তুলে নিয়ে দলে নাম লেখান। সেখানে কাশেম সিদ্দিকীর এই ‘নীরব যোগদান’কে (Furfura Sharif)ব্যতিক্রম বলেই মনে করছে অনেকে। রাজ্য রাজনীতিতে এমন ঘটনা খুবই বিরল। এই অভূতপূর্ব উত্থানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল এখন থেকেই প্রস্তুতি(Furfura Sharif) নিতে শুরু করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে কাশেমকে সামনে আনা হয়েছে। বিশেষত, ভাঙড় কেন্দ্রকে ঘিরে এই নিয়োগের তাৎপর্য অনেক। বর্তমানে ওই আসনে আইএসএফ বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী রয়েছেন। তাঁর দাপটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৃণমূল সম্ভবত কাশেম সিদ্দিকীকেই তাদের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।(Furfura Sharif)
কাশেম সিদ্দিকী নিজেও ভাঙড় এলাকায় জনপ্রিয় এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় একজন নেতা হিসেবে পরিচিত। যদিও এতদিন পর্যন্ত তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তাই হঠাৎ করে তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো নিঃসন্দেহে দলীয় কৌশলেরই অংশ। তৃণমূলের অন্দরের সূত্র বলছে, ভাঙড়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইএসএফ-এর সংগঠন জোরালো হয়েছে। তার মোকাবিলা করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কৌশল নিয়েছেন।(Furfura Sharif)
কাশেমকে সামনে এনে একদিকে যেমন সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে দখল বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় পর্যায়ে আইএসএফ-এর প্রভাব খর্ব করাও উদ্দেশ্য। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য স্তরে যে সাংগঠনিক পরিবর্তনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাশেম সিদ্দিকীর নাম দেখা যায়। এই তালিকা প্রকাশের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ওঠে, তিনি কবে দলে যোগ দিলেন? কেন তাঁর যোগদান নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি?
এই প্রসঙ্গে এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, “দল কাকে কোথায়v রাখবে, তা সম্পূর্ণভাবে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যদি কাউকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন, তবে তার পেছনে নিশ্চয়ই বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।” অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরোধী শিবির অবশ্য কাশেম সিদ্দিকীকে নিয়ে দলের এই আচমকা সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছে। কারও মতে, এটি জনসমক্ষে স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যত্যয়।(Furfura Sharif)
সব মিলিয়ে বলা যায়, কাশেম সিদ্দিকীকে সামনে এনে তৃণমূল কেবলমাত্র এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়নি, বরং এক নতুন রাজনৈতিক চাল চালল, যার লক্ষ্য ভবিষ্যতের লড়াইয়ের প্রস্তুতি। এখন দেখার বিষয়, ভাঙড়ে নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কাশেম আদৌ প্রার্থী হন কিনা, এবং হলে ভোটের ময়দানে তিনি কতটা সাফল্য পান। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনা যে বাড়বে, তা নিশ্চিত।(Furfura Sharif)