দক্ষিণ কলকাতার এক নামী ল কলেজে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনায় (Kasba Law College) নড়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই ভয়াবহ ঘটনার পর কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তনীরা এবং জুনিয়র ল ইয়ারদের একাংশ আজ, সোমবার পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জোরদার প্রতিবাদ গড়ে তোলা।(Kasba Law College)
প্রতিবাদ শুধুমাত্র কলেজ চত্বরে(Kasba Law College) সীমাবদ্ধ না রেখে, পড়ুয়ারা আজ কসবা পোস্ট অফিস চত্বরে বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অন্যান্য কলেজের ছাত্রছাত্রী ও আইনজীবী মহল। সকলেই একসুরে বলছেন— এই ঘটনার ধামাচাপা চলবে না।(Kasba Law College)
প্রতিবাদে বাধা মনোজিতের গ্যাংয়ের? অভিযোগ পড়ুয়াদের(Kasba Law College)
তবে এই প্রতিবাদ নিয়েই উঠে এসেছে নতুন বিতর্ক। প্রতিবাদী পড়ুয়াদের অভিযোগ,(Kasba Law College) কলেজের অস্থায়ী স্টাফ মনোজিতের গ্যাং আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের একে একে শনাক্ত করে হুমকি দিচ্ছে। কেউ কেউ বলেছেন, সরাসরি ফোন করে ভয় দেখানো হয়েছে, কেউ আবার দাবি করেছেন যে তাঁদের পরিবারের উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।(Kasba Law College)
এই হুমকির মুখেও একজোট হয়ে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমরা ভয় পাই না। ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না।’’ প্রশ্ন উঠেছে— এত বড় এক অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরেও কীভাবে মনোজিতের মতো একজনের সাহস হয় প্রতিবাদী ছাত্রদের হুমকি দিতে? কে বা কারা তাঁকে সেই সাহস জোগাচ্ছে?(Kasba Law College)
এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কলেজ ক্যাম্পাসেই। একাধিক ছাত্র বলছেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে মনোজিতের যোগসাজশ থাকতেই পারে। না হলে প্রশাসনের সামনে থেকে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন না তিনি।’’ ইতিমধ্যেই মনোজিতের পুরনো নানা বিতর্কিত কাজের কথাও প্রকাশ্যে আসছে।(Kasba Law College)
প্রশাসনিক তৎপরতা ও পরিচালন সমিতির বৈঠক(Kasba Law College)
এই পরিস্থিতির মধ্যে আজই সরকারি নির্দেশ মেনে কলেজ পরিচালন সমিতির এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অধ্যক্ষ, শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্যরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৈঠকের পরে বিস্তারিত রিপোর্ট উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হবে।(Kasba Law College)
তবে ছাত্রদের একাংশ বলছেন, শুধুমাত্র রিপোর্ট পাঠালেই চলবে না, অবিলম্বে মনোজিতকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘একদিকে আমরা হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছি, আর অন্যদিকে সেই হুমকিদাতা আজও কলেজের অস্থায়ী কর্মী হয়ে থাকছেন— এটা চলতে পারে না।’’(Kasba Law College)
ছাত্র আন্দোলনে নতুন ধারার সূচনা(Kasba Law College)
এই আন্দোলনে যে রকম ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তনী এবং সাধারণ নাগরিকদের সমর্থন জুটছে, তা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে। কেউ কারও দল দেখে পথে নামছে না। মানুষের নিরাপত্তা, নারীর অধিকার এবং বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার দাবিতে একত্রিত হচ্ছেন সকলে।(Kasba Law College)
এক প্রাক্তনী আইনজীবী বলেন, ‘‘আইন যেখানে পড়ানো হয়, সেই জায়গাতেই এমন অপরাধ— এটা সমাজের চরম ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। না হলে আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থাকবে না।’’