কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার গোপনীয়তা রক্ষা করুন, হুঁশিয়ারি কলকাতা পুলিশের

দক্ষিণ কলকাতার কসবা অঞ্চলের একটি বেসরকারি আইন কলেজে (kasba law college)  ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তদের একাধিক অপরাধমূলক রেকর্ড সামনে আসার…

Kasba Case: Protect Victim’s Privacy, Warns Kolkata PoliceKasba Case: Protect Victim’s Privacy, Warns Kolkata Police

দক্ষিণ কলকাতার কসবা অঞ্চলের একটি বেসরকারি আইন কলেজে (kasba law college)  ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তদের একাধিক অপরাধমূলক রেকর্ড সামনে আসার পর জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। গোটা রাজ্য যখন প্রতিবাদে সরব, তখনই নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ(kasba law college)  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করে পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার নাম, পরিচয়, ছবি কিংবা এমন কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, যা থেকে তাঁর পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।(kasba law college)  

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, গণমাধ্যম হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া— কোথাও নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ আইনত অপরাধ।(kasba law college)  ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনের আওতায় নির্যাতিতার পরিচয় রক্ষার বিষয়টি বাধ্যতামূলক। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই গোপনীয়তা ভঙ্গ করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে পুলিশ।(kasba law college)  

   

সামাজিক মাধ্যমে বাড়ছে বেপরোয়া পোস্ট(kasba law college)  

ঘটনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম, কলেজ,(kasba law college)  এমনকি ছবি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। অনেকেই না জেনে না বুঝে বা ‘সত্য ঘটনা ফাঁস’-এর তাগিদে এসব তথ্য শেয়ার করছেন, যা একেবারেই বেআইনি। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা নির্যাতিতার ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে। সেই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইটি অ্যাক্ট ও অন্যান্য ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।(kasba law college)  

এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বলেন(kasba law college)  , “এটা শুধুমাত্র আইন ভাঙার বিষয় নয়, একজন নির্যাতিতার মানসিক অবস্থার ওপরেও এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। সমাজের উচিত তাঁকে সহানুভূতির চোখে দেখা, না যে তিনি আরও হেনস্থার শিকার হন অনলাইনে বা অফলাইনে।”(kasba law college)  

মানবাধিকার সংগঠন ও আইনজীবীদের উদ্বেগ(kasba law college)  

মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশংসা করেছেন।(kasba law college)  তাঁদের মতে, অনেক সময় জনসচেতনতার অভাবে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে যা আইনের পরিপন্থী। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।(kasba law college)  

Advertisements

এক মানবাধিকার কর্মী বলেন, “ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতার পরিচয় রক্ষা করা শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটা একটি নৈতিক দায়িত্বও। যখন এমন একটি ভয়াবহ ঘটনার শিকার কেউ হন, তখন সমাজ ও প্রশাসনের উচিত তাঁকে সুরক্ষা ও সম্মান দেওয়া।”(kasba law college)  

মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা(kasba law college)  

পুলিশের নির্দেশিকার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাঁদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন কোনও তথ্য সরিয়ে নিচ্ছে, যা নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করতে পারে। একই সঙ্গে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছে— ‘নির্যাতিতার পরিচয় নয়, অপরাধীর পরিচয় জানুন’।(kasba law college)  

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অপরাধে তদন্ত যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ নির্যাতিতার মনস্তাত্ত্বিক সুরক্ষা। তাঁকে দ্বিতীয়বার সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত না হতে দেওয়াই এখন প্রশাসনের অগ্রাধিকার।(kasba law college)