কলতান গ্রেফতার হতেই বাম নেতার সমর্থনে আসরে এবার ‘রাম’

আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) শাসকদলের রোষানলে পড়তেই ‘বাম’-এর পাশে এসে দাঁড়াল ‘রাম’। চিকিৎসকদের ধর্নাস্থলে হামলার ছক কষার জন্য ইতিমধ্যেই শনিবার সকালে গ্রেফতার করা…

kalatan

আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) শাসকদলের রোষানলে পড়তেই ‘বাম’-এর পাশে এসে দাঁড়াল ‘রাম’। চিকিৎসকদের ধর্নাস্থলে হামলার ছক কষার জন্য ইতিমধ্যেই শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে। আর তাঁর গ্রেফতারির জন্য বামেরা যেমন মুখ খুলেছে তেমনই এই ঘটনায় তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বিগত চারদিন ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে এবং নিজেদের ৫ দফা দাবিতে অনড় থেকে স্বাস্থ্যভবনের কাছে লাগাতার ধর্ণা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

সেখানে প্রতি মুহূর্তে উঠছে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’-এর স্লোগান। সেই কর্মসূচিতেই হামলার চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। আর সেই অডিও ক্লিপ শুক্রবার প্রকাশ্যে এনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন চিকিসকদের ধর্ণায় এই হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বিড়ম্বনায় ফেলতে। তিনি দাবি করেছেন, এই পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে হামলা হলে মনে হয় এর নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল। এই নিয়ে বর্তমানে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়।

   

এর মধ্যে বাম যুব নেতার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন রাম-বাম দুতরফই। কুণালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, “পুলিশের প্রথম কাজ ছিল কুণালকে হেফাজতে নেওয়া। উনি এই অডিয়ো ক্লিপ কোথা থেকে পেলেন, কে দিল এগুলো জানতে হবে। আমার তো মনে হয় কুণালবাবু ও তাঁর লোকজন ডাক্তারদের আন্দোলন ভাঙার জন্য এটা তৈরি করেছে। এই গ্রেফতারি স্ক্রিপ্টেড। কুণালবাবু তো বলবার চেষ্টা করেছিলেন এর পিছনে বামপন্থী সংগঠন যুক্ত আছে।

সেটাকে মান্যতা দেওয়ার জন্য হয়তো কলতানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটাও সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় আনা উচিত। সিবিআইয়ের তদন্তকে বিপথে পরিচালনা করার জন্যই এসব হচ্ছে।” সেইসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, “এভাবেই প্রশাসন চলছে। এটা যে মিথ্যা অভিযোগ তা প্রমাণিত হয়ে যাবে। তৃণমূলের করে দেওয়া বন্দোবস্তে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশের উচিত কোথা থেকে অডিয়ো এল, কীভাবে কুণাল পেল তা আগে পুলিশের জানা দরকার ছিল। আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার ছিল। কিন্তু পুলিশ তো এক তরফাভাবে চলছে।”

এর পাশাপাশি বামের সঙ্গে একই সুরে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে? অডিয়ো ক্লিপ কী করে কুণাল ঘোষের কাছে গেল? আর তার ভিত্তিতেই বা পুলিশ গ্রেফতার করল কীভাবে? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস অসহিষ্ণু দল। কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারকে খুব একটা গণতান্ত্রিক বলা যায় না। তিনি নাশকতার ছক কষছিলেন এরকম কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু, আমি তাঁকে যতদূর চিনি তাতে আমার মনে হয় না তিনি এরকম কাজ করার মতো মানুষ নন। তাই আমাদের মত এই গ্রেফতারি একটা স্বৈরাতান্ত্রিক পদক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়।”

এরপরে বামকে বিঁধে তিনি বলেছেন, “তৃণমূল বামেদের আক্রমণ করছে বলে বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু একইসঙ্গে দুর্ভাগ্যবশত এই তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম পায়ে পা মিলিয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করছেন।”