কালীঘাট স্কাইওয়াকের (Kalighat Skywalk)কাজ প্রায় শেষ। এই স্কাইওয়াক তৈরির জন্য কালীঘাটের যে সমস্ত হকারদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের নতুন হকার্স কর্নারে ফিরিয়ে আনার জন্য কলকাতা পুরসভা উদ্যোগী হয়েছে। এই নতুন হকার্স কর্নারটি (Kalighat Skywalk) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের ধারে স্কাইওয়াকের পাশে অবস্থিত। এখানে হকারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি আধুনিক, বাতানুকূল এবং ঝাঁ চকচকে নতুন দোকানপাট।
কলকাতা পুরসভা (Kalighat Skywalk)সূত্রে জানা গেছে, নতুন হকার্স কর্নারে ১৭৬টি দোকান রয়েছে, যা সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সম্প্রতি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ এবং রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, পুর কমিশনার ও অন্যান্য পুরকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হকার সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে হকাররা নতুন হকার্স কর্নারে তাঁদের মালপত্র নিয়ে চলে আসবেন।
হকার সংগঠন (Kalighat Skywalk) তাদের জন্য দুই মাস সময় চেয়েছিল, তবে কলকাতা পুরসভা এক মাস সময় দিয়েছে। সেই অনুযায়ী, ধারণা করা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে হকাররা নতুন হকার্স কর্নারে তাদের ব্যবসা শুরু করবেন। তবে হকাররা নতুন হকার্স কর্নারের দোকানগুলি দেখে সন্তুষ্ট হলেও, তাঁরা অতিরিক্ত দরজা তৈরি করার দাবি তুলেছেন।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, হকারদের দাবি অনুযায়ী, দু’টি দোকান ভেঙে নতুন দরজা তৈরি করা যেতে পারে। তবে, হকার সংগঠনের উপরই থাকবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব, অর্থাৎ কোন হকার কোথায় দোকান পাবে। এই ব্যাপারে কলকাতা পুরসভা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
একদিকে যতীন দাস পার্ক থেকে হকাররা নতুন হকার্স কর্নারে চলে গেলে, কলকাতা পুরসভা সেই স্থান থেকে পুরনো দোকানগুলি ভেঙে দেবে। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, যতীন দাস পার্কের এই অস্থায়ী দোকানগুলি তৈরি হওয়ায় শারদোৎসবের সময় কলকাতা পৌরসভার কর্মচারীদের কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর পুজোর আগেই যতীন দাস পার্ক তার পুরনো রূপে ফিরে আসবে এবং শারদোৎসব আবারও সেখানে অনুষ্ঠিত হবে।
কলকাতা পুরসভা ও হকারদের মধ্যে আলোচনা অনুযায়ী, নতুন হকার্স কর্নারটি আধুনিকীকরণের জন্য যা কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থা হকারদের জন্য আরও ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করবে, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকানগুলির কারণে তারা বেশ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, পুরসভা জানিয়েছে যে, হকাররা নতুন কর্নারে আসার পর পুরনো দোকানগুলি ভেঙে আবার যতীন দাস পার্ককে তার পুরনো অবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। এটি পুরনো স্থানীয় সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের পুনরুজ্জীবন ঘটাবে।
এভাবে, কলকাতা শহরের রাস্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। নতুন স্কাইওয়াক ও হকার্স কর্নারের উদ্ভাবন কলকাতা শহরের উন্নতির একটি বড় পদক্ষেপ, যা নগরবাসী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে আসবে।