ISKCON Kolkata Controversy: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তাল আবহাওয়ার মধ্যে কলকাতার ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস) সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র রাধারামন দাসের নাম একবার আবারো সাম্প্রতিক ঘটনাবলির মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন, এবং এরপর মধ্যপ্রাচ্যের ইরান-ইজরাইল যুদ্ধের পটভূমিতে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি আবারো আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠেছে। রাধারামন দাসের পোস্টে প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ রামায়ণ এবং মহাভারতের উল্লেখ রয়েছে, যা তিনি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। এই পোস্টে মোল্লা-মার্ক্সিস্ট-মিশনারি সংঘের নিশানায় পড়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছে।
Read Hindi: मध्य पूर्व में महायुद्ध: कोलकाता के ISKCON नेता राधारामण दास मोल्ला-मार्क्सवादी-मिशनरी के निशाने पर
বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি ও রাধারামন দাসের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘটনাটি ইসকনের কলকাতা শাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাধারামন দাস তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানান। তিনি এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চলমান হামলার একটি অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ইসকন কলকাতার মুখপাত্র হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন, যাতে বাংলাদেশে ইসকনের সদস্যদের ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত
রাধারামন দাস সাম্প্রতিক সময়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। এই অনুষ্ঠানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতও করেছিলেন। এই সাক্ষাতের সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধপরিস্থিতি ও বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। এই সাক্ষাতকারটি মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে, কারণ এটি রাধারামন দাসের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করে।
ইরান-ইজরাইল যুদ্ধ ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইজরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে রাধারামন দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়েছেন। তাঁর পোস্টে রামায়ণ ও মহাভারতের উল্লেখ রয়েছে, যেখানে তিনি প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থগুলিকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, রামায়ণ ও মহাভারতে বর্ণিত দিব্যাস্ত্রগুলি আজকের গাইডেড মিসাইল ও ইন্টারসেপ্টরের সঙ্গে মিল রয়েছে। এই দাবিটি মোল্লা-মার্ক্সিস্ট-মিশনারি সংঘের নিশানায় পড়েছে, যারা এই ধরনের বক্তব্যকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছে।
মোল্লা-মার্ক্সিস্ট-মিশনারির সমালোচনা
রাধারামন দাসের পোস্ট মোল্লা-মার্ক্সিস্ট-মিশনারি সংঘের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। এই সংঘের অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছে। তাঁরা রাধারামন দাসের বক্তব্যকে অলীক ও অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেছেন। তবে রাধারামন দাসের দাবি হলো, প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থগুলি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি উন্নত মঞ্চ ছিল, যা আজকের বিজ্ঞানীও স্বীকার করছেন।
35 years ago, TV epics Ramayana & Mahabharat showed divine weapons like Brahmastra intercepting enemy missiles—drawn from ancient scriptures, not fantasy.
The Mulla-Marxist-Missionary cabal mocked it all as superstition.
Today? The world marvels at guided missiles, interceptors… pic.twitter.com/qUtSakgU1i
— Radharamn Das राधारमण दास (@RadharamnDas) June 22, 2025
রামায়ণ-মহাভারতের প্রসঙ্গ
রাধারামন দাসের পোস্টগুলিতে রামায়ণ ও মহাভারতে বর্ণিত দিব্যাস্ত্রগুলির উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেছেন, রামায়ণে বর্ণিত ব্রহ্মাস্ত্র ও মহাভারতে বর্ণিত অগ্নেয়াস্ত্রগুলি আজকের নিউক্লিয়ার ও প্রিসিশন-গাইডেড মিসাইলের সঙ্গে মিল রয়েছে। এই দাবিটি বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকের মধ্যেও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন যে, প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আজকের বিজ্ঞানের সঙ্গে মিল রয়েছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রভাব
রাধারামন দাসের পোস্টে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধপরিস্থিতি ও বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য মোল্লা-মার্ক্সিস্ট-মিশনারি সংঘের সমালোচনার মুখে পড়লেও, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
রাধারামন দাসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধপরিস্থিতি, বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি ও ভারতীয় সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করেছে। তাঁর বক্তব্য মোল্লা-মার্ক্সিস্ট-মিশনারি সংঘের সমালোচনার মুখে পড়লেও, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি জাগ্রত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। রামায়ণ ও মহাভারতের প্রসঙ্গে তাঁর দাবি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে, যা ভারতীয় সংস্কৃতির গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।