আগের পর্বে বলেছিলাম দোরগোড়ায় সোনাগাছির কথা। ঘরের কাছের কর্পোরেট যৌনপল্লির তথ্য। এই পর্বে বলব, কীভাবে চলে এই ধরনের যৌনতার কারবার। আজ দ্বিতীয় পর্ব
শুরুতেই ধরিয়ে দিই, আগের পর্বে বলেছিলাম স্পা সেন্টার বা ম্যাসাজ পার্লার (Spa Centers) শব্দটা শুনতে যতই বিদেশি মনে হোক আদতে এটা সেলুন। চুল-দাড়ি কাটা হয়। মূলত এটাই প্রাথমিক ধাপ। প্রথমে মাথার হাত বোলানোর পর যৌনাঙ্গ পর্যন্ত হাত যাওয়ার কয়েকটা ধাপ রয়েছে। ঘরের কাছে হলেও পাড়ার কারও সেলুন এটা নয়। তাই তাদের কাজের সিস্টেমও আলাদা। চুল কাটতে গেলে প্রথমে মাথা শ্যাম্পু দিয়ে সাফ করা হয়।
এভাবেই শুরু হয় যৌনতার কারবারের খেলা। যিনি চুল কাটবেন তিনি কিন্তু ক্লায়েন্টের মাথায় শ্যাম্পু করিয়ে দেবেন না। এই কাজটি করবে একটি মেয়ে। মাথায়, ঘাড়ে আলতো ছোঁয়া। দরকারের থেকে একটু বেশিই স্পর্শ। হালকা আবেদন। এরই মাঝে কৌশলে প্রস্তাব, “স্যার, আপনার ট্যান পড়ছে। স্পা করলে ঠিক হয়ে যাবে।” কিংবা অন্য কিছু হয়েছে। যেটার সমাধান এই স্পা সেন্টারে আছে। এর জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে। পাশের ঘরে যেতে হবে।
আগের পর্ব: পাড়ায় পাড়ায় সোনাগাছি! যৌনতা এখন দোরগোড়ায়
যেভাবেই হোক পাশের ঘরে নিয়ে যেতে হবে। সেটাই টার্গেট। তার জন্য যেন বড়শির টোপ। সব স্পা সেন্টারেই এমন ঘর থাকে। ডাক্তারের চেম্বারের মতো লম্বা টেবিল থাকে। সেখানে শুইয়ে ম্যাসাজ, স্পা বা অন্য কিছু করা হয়। ওই ঘরে ক্লায়েন্টকে নিয়ে যেতে পারলেই কেল্লাফতে। অনেকটা কাজ এগিয়ে যায়।
পরের ধাপ স্পা কিংবা ফুল বডি ম্যাসাজ। বন্ধ ঘরে কাছাকাছি একটা মেয়ে। ঘরে আলো প্রায় নেই বললেই চলে। হালকা মিউজিক। মায়াবী পরিবেশ। এই অবস্থায় কোনও রকমে তোয়ালে ঢাকা শরীর। তাতে নরম হাতের ছোঁয়া। ম্যাসাজ করতে গিয়ে কখনও পুরুষাঙ্গে ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর হাত। কখনও আবার ক্লায়েন্টের হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে স্পা কর্মীর স্তন। আদতে মনে হতে পারে এটা কাকতালীয়। কিন্তু সেটা নয়। এটাই কৌশল উত্তেজিত করার। যাতে ক্লায়েন্টের আর নিজের মধ্যে কন্ট্রোল না থাকে। যাতে বাধ্য হয়ে ক্লায়েন্ট বাড়তি সার্ভিস চান।
এই সার্ভিসের জন্য আবার টাকা দিতে হবে। ঘরে ঢোকার আগে যেটা দিলেন সেটা ম্যাসাজ বা স্পা নেওয়ার চার্জ। এবারের টাকাটা শুধু যৌনতার দাম। কত গভীর সার্ভিস আপনি নেবেন তার উপর এই চার্জ নির্ভর করে।
অর্থাৎ তিন ধাপে খরচ। প্রথমে চুল বা দাড়ি কাটার জন্য খরচ। তারপর ম্যাসাজ নিতে স্পা সেন্টারের কাউন্টারে টাকা দিতে হয়। পরের তথা শেষ ধাপে দিতে হয় যৌনতার দাম। তবে ক্লায়েন্ট পরিচিত হয়ে গেলে সরাসরি কাউন্টারে ম্যাসাজের দাম দিয়ে ঘরে ঢুকে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রথম ধাপের খরচ এড়ানো যায়।
এই পরিচিত ক্লায়েন্ট তৈরি করা বা ক্লায়েন্ট ধরে রাখাও কঠিন কাজ। বেশ কসরত করতে হয় কর্পোরেট যৌনপল্লির কর্মীদের। সে এক অন্য লড়াই। সে বিষয়ে জানাব পরের পর্বে।