তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলে নিল সেনাবাহিনী

ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদ মঞ্চ সেনাবাহিনীর তরফে খুলে দেওয়া হচ্ছে (Indian Army)। শনিবার ও রবিবার ধর্মতলায় চলা এই প্রতিবাদ কর্মসূচির…

Indian Army clash with Trinamool

ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদ মঞ্চ সেনাবাহিনীর তরফে খুলে দেওয়া হচ্ছে (Indian Army)। শনিবার ও রবিবার ধর্মতলায় চলা এই প্রতিবাদ কর্মসূচির সময়সীমা শেষ হওয়ায় সেনাবাহিনী মঞ্চ ভেঙে ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যা গত ২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি-রবিবার ধর্মতলায় চলছিল।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় মঞ্চ ও ব্যারিকেড সরানো হয়েছে, তবে তৃণমূল দাবি করছে সেনা বাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের।

   

তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারাই নির্দেশ দিয়েছেন এই মঞ্চ খুলে ফেলার। তৃণমূল অভিযোগ করেছে বাংলার বাইরে বাঙালিদের যে বঞ্চনা তার প্রতিবাদ করতে দিতে চায়না বিজেপি। তাই সেনাবাহিনী পাঠিয়ে এই মঞ্চ খুলে ফেলছে তারা।

সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ধর্মতলার প্রতিবাদ মঞ্চের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়েছে, তাই মঞ্চ ও ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক শনি এবং রবিবার এই প্রতিবাদ সভা করা যাবে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফ থেকে। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা, মিছিল ও সভার মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরছেন।

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে এবং তাদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “যদি একজন বাঙালির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে।” তিনি বাংলার শ্রমিকদের অন্য রাজ্য থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, রাজ্যে কাজের অভাব হবে না।

Advertisements

বিরোধী দল বিজেপি এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল ভাষা আন্দোলনের নামে ভোটের রাজনীতি করছে। এটি বাঙালি অস্মিতার নামে নাটক।” তবে, তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছে, বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষায় তারা কোনও আপস করবে না।

টেনশন বাড়বে আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার! চিন সফরের আগেই কেলেঙ্কারি করে বসলেন কিম জং উন

ধর্মতলার এই প্রতিবাদ মঞ্চ ভাঙা হলেও তৃণমূল জানিয়েছে, তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই আন্দোলন জোরদার করবে। আগামী দিনে দিল্লিতে গিয়ে বৃহত্তর প্রতিবাদের পরিকল্পনাও রয়েছে দলটির। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বাঙালি অস্মিতাকে কেন্দ্র করে ভোটের মেরুকরণের চেষ্টা করছে। এই আন্দোলন কীভাবে এগিয়ে যায়, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News