কর্মবিরতি প্রত্যাহারের করলেও আজ জুনিয়র চিকিৎসকদের CBI দফতর অভিযানের ডাক

অবশেষে আংশিক হলেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আজ শুক্রবার CBI অফিস অভিযানের ডাক…

cbi abhaya

অবশেষে আংশিক হলেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আজ শুক্রবার CBI অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, আজ দুপুর তিনটে নাগাদ স্বাস্থ্যভবন থেকে সিবিআই দফতর পর্যন্ত মিছিল করবেন তাঁরা। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বন্যা কবলিত জেলাগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে ‘অভয়’ ক্যাম্প তৈরি করা হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক খুনের ঘটনায় বড়সড় ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলন শেষ করার ঘোষণা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার থেকে শুরু হবে জরুরি পরিষেবা। তবে ওপিডি পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

   

সূত্রের খবর, ধাপে ধাপে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় পরিষেবা দেওয়া শুরু করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আপাতত আউটডোর ও ইনডোর সার্ভিসে অংশ নেবেন না তাঁরা। সেগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তাররাও জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানান।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সেমিনার হলে ঘুমোচ্ছিলেন। সেইসময় তাকে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে ঘৃণ্য এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর দিল্লি-সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা কাজে ফিরে গেলেও পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সকলের আন্দোলন অব্যাহত ছিল।

ধর্মঘট শেষ ঘোষণা করে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য তাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা আংশিকভাবে শুরু করা হবে। সেইসঙ্গে বাংলার বন্যার্তদের চিকিৎসা ত্রাণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে তারা কর্মবিরতি আন্দোলন আংশিক প্রত্যাহার করবেন।

তাঁরা জানিয়েছেন যে শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য তারা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে তারা আবার কাজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সকলে।