কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় গোটা দেশ শোকাহত (Mamata Banerjee)। এই নির্মম ঘটনার বলি হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলারও তিনজন। এ ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতেই বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফিরে আসছেন। এই তথ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজেই জানিয়েছেন এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে।
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) লিখেছেন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় বাংলার তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন—এটি গভীরভাবে দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। তাঁদের পরিবার কলকাতায় ফিরছেন আজ রাতেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি ও থাকব।”
নজরদারিতে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিজে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাঁদের মানসিকভাবে সাহায্য করতে মনোবিদ ও প্রশাসনিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেন বিমানবন্দরেই পরিবারের সদস্যদের যথাযথ সহায়তা ও স্বস্তি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
রাজ্যজুড়ে শোক
এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতার, একজন হাওড়ার এবং একজন নদিয়ার বাসিন্দা। তাঁরা পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন, হানিমুন কিংবা গ্রীষ্মের ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু হঠাৎই সেই আনন্দের সফর পরিণত হয় মৃত্যুমিছিলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, “ওদের তো একরাশ আনন্দ নিয়ে ফিরবার কথা ছিল। আজ ফিরবে, কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে…”
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস (Mamata Banerjee)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে সবরকমভাবে থাকবে। ক্ষতিপূরণ, সরকারি চাকরি অথবা প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে দেহগুলি দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও রাজ্য সরকারই করেছে।
তিনি বলেন, “এই ভয়াবহ সময়ে ওদের একা হতে দেব না। সরকার তাঁদের পাশে আছে, ছিল, এবং থাকবে। বাংলার সন্তানদের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।”
বিরোধী দলগুলির প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর বিরোধী দলগুলিও রাজ্য সরকারের (Mamata Banerjee)। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। সবাই একমত যে এমন ঘটনায় রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রাধান্য পাওয়া উচিত।
কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে (Mamata Banerjee)। এমন বর্বর হামলা শুধু যে প্রাণ কাড়ল, তা-ই নয়, আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, সন্ত্রাসবাদ আজও কতটা গভীরে প্রোথিত। পশ্চিমবঙ্গও তার মর্মান্তিক মূল্য চুকোচ্ছে। এই সময় আক্রান্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোই আমাদের সকলের দায়িত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আশ্বাস ও তৎপরতায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। তবে এই অন্ধকার সময়ে সরকারের পাশে থাকা এবং মানুষের সহানুভূতি হয়তো খানিকটা সাহস জোগাবে ওই পরিবারগুলিকে।