‘কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ বিক্ষোভের মুখে দাবি হিরণের

যত কাণ্ড কেশপুরে। সকাল থেকে একের পর অশান্তির খবরে কার্যত নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পাহাড় জমেছে! ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত…

hiran chatterjee

যত কাণ্ড কেশপুরে। সকাল থেকে একের পর অশান্তির খবরে কার্যত নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পাহাড় জমেছে! ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। তার মধ্যেই বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর। হিরণকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলকর্মীরা। তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তায় আগুন জ্বেলেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুধু তাই নয়, তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর’ স্লোগানও দিতে শোনা যায়।

জানা গিয়েছে যে বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক হয়। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে হিরণের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

   

এই বিক্ষোভের মাঝেই নিজের গাড়িতে বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি। হিরণ বলেন, ‘কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ কেশপুরের মুগবসান এলাকায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে ‘চোর চোর’ স্লোগান ওঠে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির সামনেই প্রায় ৫০০ তৃণমূল কর্মীর জটলা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীরা হিরণের গাড়ি ঘিরে ফেলেন। গাছের গুঁড়ি ফেলে আটকানো হয় রাস্তা। খড় ফেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। ১০০ দিনের টাকা চাই বলে দাবি জানান উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতির সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সিআরপিএফ-এর ডিআইজির সামনেই চলে তাণ্ডব। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান হিরণ।