কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলি (Abhijit Ganguly) কি রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ? এমনই আলোচনা প্রবল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন এমন ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দেখতে চাই। তাৎপর্যপূর্ণ, অধীরের মন্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরীর বিস্ফোরক দাবি- হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার মানুষের কাছে আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা অর্জন করেছেন। আমরা চাইব আগামী দিনে এই বাংলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটা নির্বাচন হোক।
লোকসভা নির্বাচনের আগে অধীর চৌধুরী কার্যত বোমা ফাটালেন।তিনি যেভাবে বিচারপতি গাঙ্গুলিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ বলেছেন তাতে রাজনৈতিক মহল আলোড়িত। কারণ বাম-কংগ্রেস জোটের কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ ছিলনা। এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে? এমন প্রশ্ন বারবার উঠেছে। তবে সিপিআই়এম তখন জানিয়েছিল, দলগতভাবে তারা কোনও মুখ তুলে আনবে না। তবে এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অবস্থানকে শতভাগ সমর্থন করেছেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী।
এদিন নিজের সংসদীয় এলাকা বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অধীর। তিনি বলেন, বিচারপতি গাঙ্গুলিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করা হোক। যদি এমন কোনও নির্বাচন হয় তাহলে তিনি কায়মনোবাক্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভোট দিতে আগে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। অধীর বলেছেন, “বাংলার মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করছে, ভরসা রাখছে। যদি এইসব ব্যক্তিত্বকে রাজনীতির ময়দানে এনে তাঁদের রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে একটি নতুন দিগন্ত হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত জানালাম।”
বহরমপুর থেকে অধীরের বক্তব্য গোটা রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিল। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলি কি অবসরের পর সরাসরি রাজনীতিতে নামবেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে। একটি বেসরকারি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেছিলেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেশের অন্যতম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কাছে অনেককিছু শিখেছেন। সিপিআইএম সাংসগ ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রতি বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলি সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি সম্মান জানান।