শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির’ রবীন্দ্রনাথের লেখা লাইনটি উদ্ধৃত করেই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। নবম-দশমের ইতিহাসের শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ। যে নিরপেক্ষ সংস্থা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নেই। সিবিআই ডাইরেক্টর কে নির্দেশ একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
এদিন হাইকোর্ট জানায়, জয়েন্ট ডাইরেক্টর নেতৃত্বে কমিটি কাজ করবে। কার নির্দেশে সুপারিশ হয়েছিল, সেটা অনুসন্ধানে আনতে হবে। বেনিয়ম এবং দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। কলকাতা পুলিশ বা রাজ্যের পুলিশের আধিকারিকরা তদন্ত করতে পারে। কিন্তু তারা যেহেতু রাজ্যের অধীনে তাই নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। যার হস্তক্ষেপে এমম দুর্নীতি হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। নিয়োগের পিছনে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কিনা! ক্ষতিয়ে দেখবে সিবিআই। এদিন হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে কি করে একই নম্বর পেয়ে তালিকার পিছনে থেকে কমিশনের সুপারিশ পেলেন? কাউন্সিলিং না করেই একজনকে সুপারিশ করা হল?
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও নবম-দশম শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
নবম দশম শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইলিয়াস শেখের। ২০১৬ সালে এস এল, এস টিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা। কম নম্বর পাওয়া সত্বেও চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আগামী ২৩ শে মার্চ রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।