ওবিসি তালিকা বাতিলের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া (High court) নিয়ে শুরু হয়েছে আইনি টানাপড়েন। সেই আবহে এবার বিতর্কের কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। হাইকোর্টে উঠে এল বিস্তর অসঙ্গতির অভিযোগ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার ও রাজ্য মিউনিসিপ্যাল নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান(High court)
দায় চাপানোর খেল(High court)
বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলার শুনানির সময় দেখা যায়, নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নে পুরসভা ও মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধিতা রয়েছে। বিচারপতির(High court) পর্যবেক্ষণ, “দুই দপ্তর একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। যেন কেউই দায়িত্ব নিতে চাইছে না।” বিচারপতির মতে, এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার বদলে চলছে দায় এড়িয়ে যাওয়া ও প্রশাসনিক অস্পষ্টতা(High court)
হাইকোর্টের নির্দেশ: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতি(High court)
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, পুরনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। হাইকোর্ট জানায়, কলকাতা পুরসভা তাদের শূন্যপদের নির্ভরযোগ্য ও হালনাগাদ পরিসংখ্যান তৈরি করবে এবং সেই তালিকা পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে পাঠাবে(High court)
পরবর্তী পদক্ষে(High court)
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সেই তালিকা (High court) খতিয়ে দেখে আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়োগের অনুমতি দেবে। তার পরেই প্রকাশিত হবে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। আদালত এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে(High court)
প্রভাব ও প্রতিক্রিয়(High court)
এই রায় কলকাতা পুরসভায় চাকরির প্রত্যাশী বহু প্রার্থীর জন্য একপ্রকার ধাক্কা হলেও, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আইনি বৈধতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হল, ওবিসি তালিকা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় কীভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে প্রভাব ফেলছে(High court)