সম্প্রতি, বাংলাদেশের কিছু নাগরিকের হরিয়ানায় অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা (Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee) পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুকে নতুন করে উত্তপ্ত করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনি প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী কার্যকলাপের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে দেশের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করছেন।(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee)
গত কয়েকদিনে, গুরুগ্রাম পুলিশ ১০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে।(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee) তারা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল। পুলিশ তাদের কাছ থেকে নথি ও পরিচয়পত্র জব্দ করেছে এবং তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই ঘটনা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি ঘোষণা করেন, “হরিয়ানায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কোনও স্থান নেই এবং তাদের দ্রুত রাজ্য থেকে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।”(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee)
এখানেই শেষ নয়। সাইনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশদ্রোহীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে দেশের সুরক্ষাকে(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee) ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সুরক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো কেবলমাত্র দুর্ভাগ্যজনকই নয়, বরং রাষ্ট্র কল্যাণের পরিপন্থী।” সাইনি আরো দাবি করেন, “এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় যে একজন মুখ্যমন্ত্রী তোষণ এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য এমন স্তরে নেমে এসেছেন যে আজ দেশের সুরক্ষার সঙ্গে ছেলেখেলা করছেন। ভারতের একতা ও সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে কোনো অন্যায় হরিয়ানা এবং দেশ গ্রহণ করবে না।”(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee) (Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee)
এই ধরনের অভিযোগে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি শিবিরের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এক ধরনের আক্রমণাত্মক রণনীতি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, যা রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক খুঁটিনাটি বিষয়গুলিকে সামনে এনে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো সরাসরি মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তার দলীয় মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করার পক্ষে।’’
এছাড়াও, তৃণমূলের একাধিক নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জানিয়ে বলেছেন, “বাঙালির জন্য একে অপরের পাশে দাঁড়ানো দরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।” এর পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা সাইনি’র মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণীত বলে দাবি করেছেন।(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee)
তবে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের সমস্যা কতটা বাড়তে পারে? সাইনি যেখানে হরিয়ানায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের বিষয়ে কি আরও স্পষ্ট বা কঠোর অবস্থান নেবেন? বিশেষত যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণ বা তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠছে, তখন রাজ্য রাজনীতির এই অস্থিরতা কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee)
এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থাপন করা দাবিগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। একদিকে যেমন বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ নিয়েছে, তেমনি তৃণমূলের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে কথা বলছেন। সাইনি’র এই মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে—যেখানে দেশের নিরাপত্তা ও রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
অবশ্যই, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য দেশের নিরাপত্তা ইস্যুতে এক নতুন আলোচনার সূচনা করেছে, যা পরবর্তী সময়ে আরো তীব্র হতে পারে। দেশের নিরাপত্তা, পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার এবং রাজনীতি—এই তিনটি বিষয় একসাথে যখন মুখোমুখি আসে, তখন তা কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিরোধই নয়, বরং দেশের সামগ্রিক ঐক্য এবং নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।(Nayab Saini Attacks Mamata Banerjee)
