“ইউনিফর্মে গুণ্ডা!” কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠেছে আইনবহির্ভূত ভাবে নির্দোষ নাগরিকদের…

grave-injustice-in-kolkata-mamata-govt-accused-as-kolkata-police-target-rakesh-singhs-innocent-family-members

বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠেছে আইনবহির্ভূত ভাবে নির্দোষ নাগরিকদের হয়রানি করার। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শ্রী রাকেশ কুমার সিং, যাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবারকে নিশানা করছে পুলিশ। তাঁর পুত্র শিবম সিং (২৫)–কে গ্রেফতার করা হয়েছে তথাকথিত ‘অপরাধে’ লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই নয় দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। (Suvendu Adhikari) 

পরিবারের সঙ্গে নির্মম আচরণ

   

বিজেপি (Suvendu Adhikari) নেতার মতে, রাকেশ সিং-এর স্ত্রী সীমা দেবী সিং, পুত্র শুভম সিং (২৮) ও কন্যা সিমরান সিং (২৬)–এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানা গেছে তাঁদের ওপর চলেছে লাগাতার মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। পুলিশ তাঁদের ঘরে হানা দিয়ে হুমকি দিচ্ছে, নির্যাতন করছে এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এটি শুধুমাত্র এক পরিবার নয়—এই ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে, প্রশাসন কিভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করছে এবং সাধারণ নাগরিকদের জীবনে অনুপ্রবেশ করছে।

আইনের কোন ধারায় এধরনের গ্রেফতার বৈধ?

ভারতীয় সংবিধান, বিশেষ করে ধারা ২১ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মর্যাদা সুরক্ষিত। একজন অভিযুক্ত না থাকলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার বা হেনস্তা করার কোনো আইনগত বৈধতা নেই। সুপ্রিম কোর্টও একাধিক মামলায় স্পষ্টভাবে বলেছে, পরিবারের সদস্যদের “প্রক্সি টার্গেট” করে পুলিশি পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।

Advertisements

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি প্রশাসনিক পেশিশক্তি?

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি শুধুমাত্র একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা, না কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন প্রদর্শনী? অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু রাকেশ সিং রাজ্য সরকারের বিরোধী শিবিরের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাঁকে লক্ষ্য করে তাঁর পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

জনমত ও প্রতিবাদ

নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হচ্ছে, দাবি উঠেছে অবিলম্বে শিবম সিং-এর মুক্তি ও অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার।