কেন্দ্রের সমান হারে ডিএ (Dearness Allowance) দিতে হবে। এই দাবিতে সোমবার থেকে পেন ডাউনের কথা ঘোষণা করেছে সরকারি কর্মীরা (Government employees)৷ গতকাল রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছিল৷ মঙ্গলবারেও একই ইস্যুতে উত্তাল হতে চলেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি। ২৬ দিনের মাথায় ধর্না ও ১২ দিনের অনশনের পাশাপাশি ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতিতে কোনও প্রভাব না পড়লে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকারি কর্মীরা৷
গত রাজ্যের একাধিক সরকারি দফতরে এর প্রভাব দেখা গিয়েছিল৷ বুকে ব্যাচ পড়ে প্রতিবাদী বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, স্কুল খুললেও তাঁদের পঠনপাঠন হবে না। তবে প্রতিদিনের মতো মিড ডে মিলের ব্যবস্থা থাকবে। কারণ, সেটা শিশুদের পুষ্টির বিষয়। তাঁদের আরও বক্তব্য, তাঁরা কাজে ফিরতে চান। কিন্তু রাজ্য সরকার দাবি মানছে না।
সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, ৪২ শতাংশের জায়গায় মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করে প্রতি মাসে বিরাট অংশের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে সরকার৷ তাই তাঁরা আন্দোলনে শামিল হয়েছে। তার ওপর সরকারের নির্দেশিকা দেখে মনে হচ্ছে এটা অসদউদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। গতকাল বিক্ষোভের মধ্যেই একাধিক জায়গায় তৃণমূলের সংগঠন থেকে ইস্তফা দিয়েছে বহু সরকারি কর্মীরা। যার প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যতক্ষণ না ডিএ এবং বকেয়া ডিএ দিচ্ছে স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পানীয় জল ছাড়া সব জায়গায় তালা লাগিয়ে রাখা হোক। সিপি(আই)এম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, সারা রাজ্যে এর প্রভাব দেখা গেছে। কয়েকজন যারা অসৎ পথে ডিএর থেকে বেশী উপার্জন করে তাঁদের অসুবিধে হবে।