গোপাল মুখপাধ্যায়, (Gopal Patha) যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই সকলের কাছে পরিচিত। ১৯১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার মলঙ্গা লেনে তার জন্ম। তাঁর জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল দ্য গ্রেট কলকাতা কিলিং। মুসলিম লীগের অনুগামীরা চেয়েছিল কলকাতাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে। কলকাতায় শুরু হয় হিন্দু হত্যা।
কিন্তু গোপাল মুখোপাধ্যায়ের সশস্ত্র আন্দোলনে পিছু হটে মুসলিম লীগ সমর্থকরা। এবার লেখক সৌরভ চক্রবর্তীর লেখনীতে প্রকাশ পেতে চলেছে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের জীবনী। আগামীকাল তার জন্মদিনেই প্রকাশ হবে এই বই। যে জীবনী লিখতে সাহায্য করেছেন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা।
এই মুহূর্তে বাংলার রাজনৈতিক ঘোলা জলে অনেকেই গোপাল পাঁঠার নাম নিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। তার নাম তৈরী হয়েছে অনেক কাল্পনিক কাহিনী। বিবেক অগ্নিহোত্রী নামে জনৈক ব্যাক্তি। শোনা যায় তিনি একজন চিত্র পরিচালক।
একটি ছবি বানিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়েছেন। এই বই যা গোপাল পাঁঠার নিজস্য বক্তব্য এবং তার পরিবারের সদস্যদের তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা হয়েছে, তা অনেক মিথ কে অসত্য প্রমান করবে বলে মনে করেছেন অনেকে।
গোপাল পাঁঠার জীবনী শুধুমাত্র তাঁর বীরত্বের গল্পই নয়, বরং তৎকালীন ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি প্রতিচ্ছবি। ১৯৪৬ সালের গ্রেট কলকাতা কিলিং ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি সংকটময় মুহূর্ত।
সেই সময়ে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক হিংসা তীব্র আকার ধারণ করেছিল। গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলন কলকাতার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি ঢাল হিসেবে কাজ করেছিল।
তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপ তাঁকে সাধারণ মানুষের মধ্যে একজন নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।এই বইটি প্রকাশের মাধ্যমে গোপাল পাঁঠার জীবনের অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। লেখক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “গোপাল পাঁঠার জীবনী লেখার সময় আমি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি।
মোদী–ট্রাম্প বন্ধুত্বের পুনরুচ্চারণ, জয়শঙ্করের ইতিবাচক বার্তা
তাঁদের দেওয়া তথ্য এবং গোপাল পাঁঠার নিজের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে এই বইটি রচিত হয়েছে। এটি শুধু তাঁর বীরত্বের গল্প নয়, বরং তাঁর মানবিক দিক এবং সমাজের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরবে।”