বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ এক (CM Mamata Banerjee) সংগ্রামের ইতিহাস। রাজনৈতিক জীবনের নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে তিনি আজও বাংলার ‘দিদি’ হিসেবে বাঙালির হৃদয়ে রাজ করেন। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে, মমতার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন সকলেই, কারণ তাঁর নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়ন হয়েছে, এবং তিনি অনেক সময় রাজ্যের মানুষের কাছে একটি অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের চিত্রই এখন সোনার কলমে খোদাই হয়ে জ্বলজ্বল করছে(CM Mamata Banerjee)
এবার মমতার সেই দীর্ঘ লড়াইয়ের নতুন পরিচয় সামনে এসেছে এক বিশেষ সোনার কলমের মাধ্যমে। লেভারি নামে একটি সোনার কলম প্রস্তুতকারী সংস্থা সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মুখ খোদাই করা এক দুষ্প্রাপ্য সোনার কলম বাজারে এনেছে। শুধু মমতার মুখই নয়, তাঁর দলের তৃণমূল কংগ্রেসের লোগোও খোদাই করা হয়েছে কলমটির ওপর। এই সোনার কলমটি শখের সংগ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ দামী উপহার হতে চলেছে।(CM Mamata Banerjee)
এই বিশেষ কলমের গায়ে মমতার মুখ খোদাই করা একটি সোনালী চিত্র রয়েছে, যা দেখতে যেমন চমকপ্রদ, তেমনি এতে লুকিয়ে রয়েছে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কলমটির মূল উপাদান সোনা, যা কলমটির সৌন্দর্য এবং দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সোনার সাথে আরও কিছু মূল্যবান রত্নও যোগ করা হয়েছে, যার কারণে এটি খুবই বিশেষ ও বিরল হয়ে উঠেছে(CM Mamata Banerjee)
কলমটি যে শুধুমাত্র একটি সাধারণ লিখন সরঞ্জাম নয়, তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় তার অসাধারণ নকশা ও অমূল্য উপাদান থেকে। এমনকি এই কলমটির রংও একেবারে কালো, যাতে সোনালি মমতার মুখ আরও উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে। আর এটাই বিশেষ! এটি শুধু একটি কলম নয়, বরং একটি সংগ্রাহ্য মূল্যবান বস্তু, যা একদিকে বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত, অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিচয়েরও প্রতীক(CM Mamata Banerjee)
লেভারি সংস্থাটি এই কলমটির বিক্রির জন্য সোশাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। তাদের দাবি, সত্যিকারের বাঙালির কলমটি সংগ্রহে রাখতে আগ্রহী হবেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাদের কাছে এটি একটি আদর্শ সংগ্রাহ্য সামগ্রী হতে পারে। একদিকে, এটি একটি ঐতিহ্যের প্রতীক, অন্যদিকে, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের স্মৃতি সংরক্ষণের একটি উপায়(CM Mamata Banerjee)
বর্তমানে, লেভারি সংস্থা এই কলমটির দাম ১৪৯৯ টাকা রেখেছে। তবে, ‘দিদি’র সম্মানে তারা বিশাল ছাড় দিয়ে মাত্র ৯৯৯ টাকায় এই কলম বিক্রি করছে। তাদের মতে, এটি বাংলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সত্যিকারের বাঙালির কাছে অত্যন্ত মূল্যবান একটি সামগ্রী। সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই কলমটি বিক্রির প্রচারিত হয়ে যাওয়ার পর, ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহও দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, লেভারি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই কলমটি এখন আর মাত্র ৬টি রয়েছে তাদের ভাঁড়ারে। অর্থাৎ, এটি একটি একেবারে সীমিত সংস্করণের পণ্য, যা খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যেতে পারে।
এটি অবশ্যই বিশেষত সেই সংগ্রাহকদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ যারা একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কৃতিত্ব এবং তার নেতৃত্বের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে মূল্যায়ন করতে চান। তবে, এই বিশেষ কলমটির নিয়ে কিছু বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো খোদাই করার বিষয়টি কি যথাযথ অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে? এ বিষয়ে যখন সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রশ্ন তোলে, তখন কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। ফলে, প্রশ্ন উঠেছে, আইনগতভাবে কি এই ধরনের পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ বৈধ? যদিও, এটি একটি আলোচিত বিষয় হতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখখচিত সোনালী কলমের আলোয় তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাবে—এটাই নিশ্চিত।
এখন প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি এমন একটি সোনালি কলমের সংগ্রহে আগ্রহী হবে বাংলার সাধারণ মানুষ, যাঁরা মমতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অনুভব করেন? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দিতে পারবে, তবে এটি নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
