সোনার দাম (Gold Price) মানেই এক অনিশ্চয়তা। প্রতিদিনই দামের ওঠানামা এখন যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। গত শনিবার সামান্য কমলেও, মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট ফের ঊর্ধ্বমুখী হল সোনার বাজার(Gold Price) । ফলে ক্রেতা থেকে বিনিয়োগকারী—সকলের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দ্বিধা। কেউ ভাবছেন এখনই কিনবেন, আবার কেউ অপেক্ষা করছেন দামের আরও পতনের আশায়।
বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সোনার (Gold Price) গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতবর্ষে সোনা শুধু অলংকার বা ঐতিহ্যের প্রতীক নয়, বরং এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবেও পরিচিত। তবে দামের ক্রমাগত ওঠানামা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
দামের বর্তমান চিত্র
মঙ্গলবার কলকাতায় ২২ ক্যারাট সোনার দাম (Gold Price) সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯২ হাজার টাকার আশেপাশে প্রতি ১০ গ্রামে। অন্যদিকে, ২৪ ক্যারাট সোনার দামও লাফ দিয়ে উঠে এক লক্ষ টাকার গণ্ডি অতিক্রম করেছে। যদিও এর ঠিক আগের দিন বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল, তবে একদিনের মধ্যেই দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে।
এই ওঠানামার ফলে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই শপিং মল বা গয়নার দোকানে গিয়ে কিনতে চাইছেন, আবার দামের ভয়ংকর চেহারা দেখে পিছু হটছেন। ফলে সোনার বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা হলেও কম দেখা যাচ্ছে।
কেন বাড়ছে সোনার দাম?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের উপর নির্ভর করে ভারতের বাজার। ডলার ও টাকার বিনিময় হার, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তেলের দাম—সবকিছুই সোনার দামে(Gold Price) প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি উৎসবের মরসুম ঘনিয়ে আসায় ক্রেতাদের চাহিদাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। পুজো-পার্বণ বা বিয়ের মরশুমে ভারতীয় বাজারে সোনার চাহিদা বেড়ে যায়, যা দামের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
তাছাড়া, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা বা শেয়ার বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেই বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকে পড়েন। সেই চাহিদাও বাড়তি দামের অন্যতম কারণ। সাধারণ মানুষের কাছে সোনা কেনা মানে ভবিষ্যতের সঞ্চয়। কিন্তু প্রতিদিনের দামের ওঠানামায় অনেকেই দ্বিধায় পড়ছেন। আজ কিনলে কাল দাম কমতে পারে, আবার অপেক্ষা করলে হঠাৎ দাম লাফিয়ে বাড়তেও পারে। এই অনিশ্চয়তাই বর্তমানে সোনার বাজারের প্রধান চিত্র।
বিনিয়োগকারীরা অবশ্য একটু অন্যভাবে ভাবছেন। তাঁদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে সোনায় বিনিয়োগ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীরা বড়সড় ঝুঁকি নিচ্ছেন।