মঙ্গলবার কলকাতায় কতটা সস্তা হল হলুদ ধাতু জেনে নিন

আজ, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম (gold and silver price) এমসিএক্স (মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ)-এ যথাক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর, কারণ মূল্যবান…

Gold and Silver Prices on 5th February 2025: Check Latest Rates in Kolkata

আজ, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম (gold and silver price) এমসিএক্স (মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ)-এ যথাক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর, কারণ মূল্যবান ধাতু (gold and silver price)হিসাবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের বাজেটেও প্রভাব পড়ে। এমসিএক্স-এ স্বর্ণের মূল্য ৭৬,৭৬৪ টাকা (gold and silver price)প্রতি ১০ গ্রাম দাঁড়িয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৭৭ টাকা বা ০.১০ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল স্বর্ণের দাম (gold and silver price) ছিল ৭৬,৬৮৭ টাকা।

রৌপ্যের দামও (gold and silver price) একই দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ ২০২৪-এ মেয়াদ উত্তীর্ণ রৌপ্য ফিউচারসের দাম ৩২২ টাকা বা ০.৩৫ শতাংশ বেড়ে ৯১,১৩২ টাকা (gold and silver price) প্রতি কেজি হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৯০,৮১০ টাকা(gold and silver price)। স্বর্ণ এবং রৌপ্যের দাম ভারতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রুপির ডলারের বিরুদ্ধে মূল্য এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদা।

   

ভারতে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম মূলত বৈশ্বিক বাজারের পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের প্রবণতার ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, ডলারের সাথে রুপির মূল্য পতন বা বৃদ্ধির ফলে এসব ধাতুর দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে ধাতু, বিশেষ করে স্বর্ণ এবং রৌপ্য, এর চাহিদাও এই দাম পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। যদি বিশ্বের কোনো দেশে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ঘটে অথবা যুদ্ধ বা রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়, তাহলে সাধারণত মূল্যবান ধাতুর চাহিদা বাড়ে, যা তাদের দাম বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি সরাসরি ভারতের বাজারকেও প্রভাবিত করে। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, সেগুলোর ওপর নজর রেখেছে বাজার। এটি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত দিতে পারে, যা স্বর্ণ এবং রৌপ্যের বাজারে তার প্রভাব ফেলবে।

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম স্থিতিশীল ছিল, কারণ বিনিয়োগকারীরা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের পথে কী হতে পারে, তা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। রিওটার্সের প্রতিবেদনে জানা যায় যে, স্পট স্বর্ণের দাম প্রায় অপরিবর্তিত ছিল, ২৬৩৬.৫০ ডলার প্রতি আউন্স, যা ০১৫৬ জিএমটি অনুযায়ী ছিল। অন্যদিকে, ইউএস স্বর্ণ ফিউচারসের দামও স্থির ছিল, ২৬৫৯.০০ ডলারে।

অন্যদিকে, রৌপ্য দামও আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্পট রৌপ্য দাম ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০.৫১ ডলার প্রতি আউন্স দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ধাতু বাজারের পরিস্থিতি এভাবেই স্বর্ণ ও রৌপ্যের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে, যা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় বাজারেও প্রতিফলিত হচ্ছে।

স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম বাড়ানোর কারণ

স্বর্ণ ও রৌপ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে:

১. বিশ্বব্যাপী চাহিদা: যদি বিশ্বের কোনো বড় বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, তা স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দেশের আর্থিক সংকট বা অস্থিরতা বৃদ্ধি পেলে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত মূল্যবান ধাতুতে বিনিয়োগ করে নিরাপত্তা খোঁজেন, যা দাম বাড়িয়ে দেয়।

২. মুদ্রার পতন: যদি আন্তর্জাতিক বাজারে রুপির মান কমে যায় বা ডলারের মান বৃদ্ধি পায়, তবে ভারতে স্বর্ণ ও রৌপ্য দাম বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, আমদানি করা ধাতু হিসেবে এর দাম আরও বাড়ে।

৩. অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: সাধারণত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না থাকলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। এমনকি রৌপ্যও চাহিদা বাড়ে যখন অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাড়ে।

৪. সরবরাহের অভাব: যদি কোনো দেশে কৃষি বা শিল্পক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়, যার কারণে রৌপ্য বা স্বর্ণের সরবরাহ ব্যাহত হয়, তবে দাম বাড়ে।

ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরবর্তী দিক নির্দেশনা

যেহেতু স্বর্ণ এবং রৌপ্য এর মূল্য বাড়ছে, সেহেতু বিনিয়োগকারীরা কিংবা সাধারণ গ্রাহকরা তাদের স্বর্ণ এবং রৌপ্য কেনার সিদ্ধান্তে কিছুটা সতর্ক থাকতে পারেন। যারা স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য বর্তমান সময়ে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। তাই যারা স্বর্ণ কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত সময় হতে পারে, তবে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া, যারা রৌপ্য কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদেরও এই বৃদ্ধির কারণগুলোর ওপর নজর রাখতে হবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।