ধক নেই! অভিনেতা অনির্বাণের গানে ক্ষুব্ধ গর্গ

নতুন গান, ফরম্যাট নিয়ে নতুন প্রজন্মের সামনে হাজির অভিনেতা অনির্বান ভট্টাচার্য (Garga Chatterjee)। বেশ কয়েকদিন আগে অনির্বানের নতুন গানের দল হুলি-গান ইজমের ‘মেলার গান’ এখনো…

Garga on Anirban

নতুন গান, ফরম্যাট নিয়ে নতুন প্রজন্মের সামনে হাজির অভিনেতা অনির্বান ভট্টাচার্য (Garga Chatterjee)। বেশ কয়েকদিন আগে অনির্বানের নতুন গানের দল হুলি-গান ইজমের ‘মেলার গান’ এখনো বেজে চলেছে সবার মুঠো ফোনে। গতকাল তাদের প্রথম কনসার্টে দর্শকদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবচেয়ে বড় কথা গানের কথার মধ্যে স্থান পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কুনাল ঘোষ।

বাদ যাননি রোম্যান্টিক দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিপ্লবী দলের শতরূপও। গানের ধারায় নতুন ফরম্যাট আনার চেষ্টা আগেও হয়েছে এখনও হচ্ছে, হয়তো ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু বাংলাপক্ষ যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। এই গানেতেও যে তাদের বেশ সমস্যা হয়েছে তা বোঝা গেছে সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে।

   

গর্গ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, বাঙালি রাজনীতিবিদদের নিয়ে মস্করা করা যেতেই পারে কিন্তু অনির্বানের গান থেকে অবাঙালি শ্রীকান্ত মোহতা বাদ গেলেন কেন। গর্গ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন এক সময় শ্রীকান্তের অফিসের সামনে গিয়ে তার স্বরূপ তুলে ধরে বাংলাপক্ষ।

কিন্তু অনির্বানের ধক নেই শ্রীকান্তের সম্বন্ধে কিছু বলার বা তাকে নিয়ে বিদ্রুপ করার। লিখতে গিয়ে হয়তো অসাবধানে বিজন ভট্টাচার্যের নাম লিখে ফেলেছেন তিনি এবং তার ই ঊত্তরসূরি বলে পরিচয় দিয়েছেন নিজেদের।

এখানেই থেমে নেই গর্গ। তিনি বলেছেন শ্রীকান্তের মত লোকেদের নিয়ে মঞ্চে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতে হলে চাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। তাই অনির্বানের গানের দলের ফরম্যাট এবং পোশাক পরিচ্ছদ অভিনব হলেও গর্গ এই দলের অর্থনৈতিক সাফল্য কামনা করেছেন। স্বভাবতই গর্গর এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে প্রত্যেকেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

Advertisements

সুশান্ত দাস প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যে শ্রীকান্তের নাম নিলে অনিৰ্বান কে ছবিতে নাও নিতে পারেন শ্রীকান্ত।তাতে ক্ষতি অনির্বানের ই হবে। তার প্রত্যুত্তরে গর্গ বলেছেন কোনো অবাঙালির ভয়ে যদি একজন বাঙালি গায়ক বা অভিনেতা চুপ করে যায় তাহলে সেটা বাংলাপক্ষের ব্যার্থতা। তবে সামগ্রিক নেটিজনদের প্রতিক্রিয়া দেখতে গেলে তার সিংহভাগ ভোট কিন্তু পড়েছে অনির্বানের ঝুলিতে।

নেটিজনদের অনেকেই বাংলাপক্ষের এই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সর্বঘটের কাঁঠালীকলা হওয়াকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না। রাজনীতি থেকে শুরু করে গান সবেতেই বাংলাপক্ষের এই অহেতুক নাক গলানোকে বরদাস্ত করেননি অনেকেই। অনেকেই মন্তব্য করেছেন রাজনীতি গানবাজনা ছাড়াও বাংলাপক্ষ খেলার ও ভীষণ সমঝদার।

শেয়ারবাজারে ধাক্কা, সেনসেক্স ২০০ পয়েন্ট পড়ল

কয়েকদিন আগেই ভারতীয় ফুটবল দলে কেন বাঙালি নেই তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তারা। আবার অনেকের মতেই বিধানভবনে মার খাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে বাংলাপক্ষ যদি ঝালে ঝোলে অম্বলে নাক গলায় তবে এই পরিণতি বার বার ঘটবে।